রাফায় স্থল অভিযানের আগে আশার শেষ প্রদীপ হিসেবে সামনে এলো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তি ও ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে মিশরে রয়েছে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল।
ইসরাইলের প্রস্তাবকে উদার হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সৌদি আরবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি জানান, হামাসের উচিত প্রস্তাবটি গ্রহণ করা।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, 'ইসরাইলের পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবটি খুবই উদার। আমরা এখন যুদ্ধ ও যুদ্ধবিরতির মাঝে আছি। খুব দ্রুত হামাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার আশা, তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে।
জিম্মিদের মুক্তি না দিলে সংঘাত অব্যাহত থাকার শঙ্কা জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন।
তিনি বলেন, 'আশা করছি হামাস প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে। সত্যি বলতে বিশ্বের সবার নজর এখন হামাসের ওপর যেখানে সবাই চাইছে তারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করুক। এতে যুদ্ধ বন্ধ হবে। আমরা সবাই এটিই দেখতে চাই।'
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে কাতারের আমির ও মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের নেতজাহ ইয়াহুদা ব্যাটেলিয়নের ওপর তদন্ত করছিলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। শঙ্কা ছিলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে বন্ধ হতে পারে মার্কিন সহায়তা। এবার ৫টি ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে মিলেছে অভিযোগের প্রমাণ। তবে মার্কিন পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ায় সহায়তা বন্ধ না হবার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, 'আমরা ৫টি ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। ৪টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরাইল। বাকি ১টি ব্যাটেলিয়নের সমস্ত তথ্য দেয়া হয়েছে ইসরাইলের পক্ষ থেকে। তাই ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা অব্যাহত থাকবে।'
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে পরোয়ানা ঠেকাতে সহায়তা চান নেতানিয়াহু। আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি না দিলেও পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে আদালতকে স্বীকৃতি না দেয়ায় আইসিসি ইসরাইলের কোনো ব্যক্তির বিচারের এখতিয়ার রাখে না।