মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হুতিদের প্রতিহত করতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় হুতিদের হামলা প্রতিহত করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান এক সামরিক ঘাঁটি। যেখান থেকে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সময় পাওয়া যায় মাত্র কয়েক মিনিট।

রাতের অন্ধকারে মার্কিন সেনা ঘাঁটি ইউএসএস বাতানের ডেক থেকে একটি একটি করে যুদ্ধবিমান উড়ে যায় লোহিত সাগর টহলে। লাল আর সবুজ বাতি জ্বলার পর মুহূর্তেই বিমানগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে ভূমধ্যসাগরে। ২৪ হাজার মার্কিন সেনা ও নাবিকের বৃহদাকার ভাসমান এই নৌঁঘাটি পরিপূর্ণ সাঁজোয়া যান, যুদ্ধবিমান আর হেলিকপ্টারে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি'র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ঘাঁটিতে নাবিকদের কার্যক্রমের বিস্তারিত।

যখনই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন ছোড়ে, তখনই ইউএসএস বাতানের নাবিকরা যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে সেগুলো ভূপাতিত করে। অথচ গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর কিছুদিন আগেও এই ঘাঁটির নাবিকরা ভেবেছিলেন, তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

কয়েক মাস আগেই পারস্য উপসাগরে টহল দিয়ে কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু গাজায় সেনা অভিযান শুরুর পর পাল্টে যায় পুরো পরিস্থিতি। ইউএসএস বাতানের কাছে পৌঁছে যায় নতুন বার্তা, পূর্ব ভূমধ্যসাগর তদারকি করার কথা। ১২ দিন পর তাদের কাছে আসে আরেক নির্দেশনা, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা প্রতিহত করতে হবে।

সেই থেকে হুতিদের ছোড়া ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করছে ইউএসএস বাতানের যুদ্ধবিমান পরিচালনাকারীরা। তবে তারা বলছেন, এই ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভয়ানক বিস্ফোরক বহন করে, যে কারণে এগুলো ধ্বংস করাও অনেক বেশি বিপজ্জনক। কন্ট্রোল রুম থেকে খুব সাবধানতার সঙ্গে ফাইটার জেটগুলো পরিচালনা করা হয়।

নাবিকরা জানান, কন্ট্রোল রুম থেকে শুধু জানানো হয়, হুতিরা ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এটুকু সময়ের মধ্যেই পদক্ষেপ নিতে হয় তাদের। এখন ইউএসএস বাতানের কোন সেনাই জানেন না কখন বাড়ি ফিরতে পারবেন। অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই নিজেদের মিশন চালিয়ে যেতে হচ্ছে এই নাবিকদের।

এসএস