গেল সপ্তাহে জর্ডানের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের জবাব দিতে চাপ বাড়ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। শুক্রবার দেশে ফেরে তিন সেনার মরদেহ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানিয়েছে দুটি দেশের ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। আধাঘণ্টার হামলায় বি ওয়ান বোমারু বিমানের পাশাপাশি অন্যন্য যুদ্ধাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্স ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী।
পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা বিশ্বের কোনো প্রান্তেই সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো মার্কিনীকে আঘাত করা হলে ওয়াশিংটন তার জবাব দিতে সবসময় প্রস্তুত।
এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি ইরান। বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে হামলার আগে বিভিন্ন সতর্কতা নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
বিমান হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইরাক। তবে এখনো মন্তব্য করেনি ইরান। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গেল অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর ১৬০টির বেশি হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আবারও বাড়ার শঙ্কা বিশ্লেষকদের।