ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী লক্ষ্য করে ইরাকে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টিকে ইরাক মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। বাগদাদ বলছে এই ধরনের বেপরোয়া গতিবিধি পুরো অঞ্চলের শান্তি নষ্ট করছে। ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলার কারণে বুধবার সশস্ত্র গোষ্ঠীর তিন ঘাঁটিতে হামলা করে বসে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের দাবি এই হামলা জরুরি ছিলো। ইরাক আর সিরিয়ায় অবস্থিত নিজেদের সেনা নিরাপত্তা জোরদারে উঠে পড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাগদাদের দাবি যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চাইছে না।
একদিকে গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইরাক, সিরিয়া আর ইয়েমেনে ওয়াশিংটন হামলা চালাচ্ছে। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরাক আর সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর ১৫০ বারের মতো ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা হামলা করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অভিযোগ, ইসরাইলকে অপরাধ চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করছে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে দ্বন্দ্ব শুরুর দ্বারপ্রান্তের এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক আর সিরিয়া চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন তাদের দেশ থেকে মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। মধ্যপ্রাচ্যের দুটি সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত হয় এমন খবর যে, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দাবি অস্বীকার করে পেন্টাগন জানায়, ইসলামিক স্টেট দমনে মার্কিন সেনারা মোতায়েন থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইরাকে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় অনেক বছর ধরে ইরাকে মোতায়েন থাকা সেনাদের বিষয়ে ওয়াশিংটন যেকোন সিদ্ধান্তে আসতে পারে।
এই দেশের ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঠেকাতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। তবে পেন্টাগন জানায় ইরাক থেকেও সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কোন পরিকল্পনাই নেই। যদিও ইরাক সরকার চায় সেনা মোতায়েনের এই আন্তর্জাতিক সমঝোতা আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হোক।
সেনা প্রত্যাহারের পরিবর্তে গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে উল্টো সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। সংবাদ মাধ্যম এক্সিওসিসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা আছে।