যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হুতি বিদ্রোহীদের ওপর আবারও হামলা

সোমবার (২২ জানুয়ারি) হুতিদের আটটি স্থাপনা লক্ষ্য করে নতুন করে একযোগে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ধ্বংস করা হয় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারির যন্ত্রের গুদাম। হুতিদের বিরুদ্ধে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম দফার হামলা ও ১১ জানুয়ারির পর যৌথ অভিযানে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় অংশগ্রহণ।

পশ্চিমা গোয়েন্দাদের তথ্য হুতিদের অস্ত্রভাণ্ডারের ৩০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব হামলায়। যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও বাহরাইনের এই অভিযানে সমর্থন ছিল।

এবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও পেন্টাগন প্রতিবেদক লুইস মার্টিনেজ বলেন, 'এই হামলায় মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে। খুব সম্ভবত টমাহক। লোহিত সাগরে জাহাজ থেকে ক্রুজ মিসাইলও ছোঁড়া হয়েছে। দিন দশেক আগে যে হামলা হয়েছিল, সেরকম গতরাতের হামলাও বহুপাক্ষিক ছিল। এছাড়া পাল্টা হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ছোট পরিসরে প্রতিরক্ষামূলক কিছু হামলাও চালিয়েছে।'

হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভিতে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও সানার কাছে আল-দাইলামি বিমান ঘাঁটি এবং তাইজ ও বাইদা প্রদেশে হামলার খবর জানানো হয়েছে। অবশ্য ইয়েমেন উপকূলের কাছে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালোনোর বিষয়ে অনড় রয়েছে হুতিরা। এমন পরিস্থিতিতে সুয়েজ খাল এড়িয়ে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত হয়ে পণ্য আনা-নেয়া করছে আন্তর্জাতিক শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি পরিবহণ খরচ বাড়ছে।

সংকটের সাময়িক সমাধান হিসেবে সৌদি আরব হয়ে সড়কপথে পণ্য আনানেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জার্মান শিপিং গ্রুপ হাপাং-লয়েড। জেদ্দার সমুদ্রবন্দরের বদলে আপাতত জেবেল আলি, দাম্মাম আর জুবাইল হয়ে সৌদি সড়কপথ ব্যবহার করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। হাপাং-লয়েডের মধ্যপ্রাচ্যে ৫৫টি সমুদ্রবন্দর ও ৫৩টি অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল রয়েছে।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সোমবার দুই শতাংশ বাড়ার পর মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে কিছুটা তেলের দাম কমেছে। সপ্তাহ শেষে রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি টার্মিনালে হামলার পর তেলের চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য নষ্টের শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।