হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের তিন মাসের মাথায় ফের সফল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সামরিকভাবে শক্তিশালী আইডিএফ সেনাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে হামাসের চৌকস সদস্যদের হাতে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা করে হামাস। একের পর এক রকেট হামলায় ব্যাটেলফিল্ডে নাজেহাল আইডিএফ সেনারা।
ওইদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের হামলায় প্রাণ যায় ইসরাইলের ৩০ সেনার। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে লেবানন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মায়াদিন।
সেখানে বর্ণনা করা হয় কীভাবে আইডিএফ সেনাদের ওপর হামলা করে হামাস। যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে আসা আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রথম সারির যোদ্ধারা জানান, ইসরাইলি সেনাদের সমাবেশ লক্ষ্য করে 'ভ্যাকুয়াম বোমা' ছোঁড়ে তারা। যা কিনা এমন এক ধরণের বিস্ফোরক, যা পার্শ্ববর্তী বায়ু থেকে অক্সিজেন ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাই স্বাভাবিভাবেই প্রচলিত বিস্ফোরক থেকে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী এই 'ভ্যাকুয়াম বোমা'।
একই দিন খান ইউনিস শহরে ইসরাইলের 'মারকাভা ট্যাংক' ও 'ডি-৯ সাঁজোয়া বুলডোজার' লক্ষ্য করে আক্রমণ করে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
ওই দিন উপত্যকাটির 'জাবালিয়া' অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালায় হামাসের আল-মুজাহিদিন ব্রিগেড ও আল-কুদস ব্রিগেড।
তবে বসে নেই ইসরাইলও। তাদের দাবি, ১৯ জানুয়ারি হামাসের বেশ কয়েকটি গোপন সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে তারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সে এর ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে তেল আবিব।
এদিকে যুদ্ধের ময়দানে হামাস গেরিলাদের লাগাতার সফলতা দেখে, ভরসা করতে পারছে না নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারের ওপর। তাই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবার অস্ত্র-গোলাবারুদ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমাদের কাছে। এরইমধ্য জার্মানি রাজি হয়েছে ইসরাইলকে ১০ হাজার গোলা দেয়ার জন্য।