জিম্মিদের ফেরত দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

বিদেশে এখন
0

গাজায় অপহৃত জিম্মিদের ফেরত দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হিজবুল্লাহর ক্রমাগত রকেট ও ড্রোন হামলায় ইসরাইলে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। উল্টোদিকে লেবানন ও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। লেবাননের সামরিক বাহিনীতে নিহত সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ এ। নিজেদের শান্তিরক্ষীদের দেশের ফেরত নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধবিরতির জন্য দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

হিজবুল্লাহর একের পর এক হামলায় দিশেহারা ইসরাইল। আজ (বুধবার, ২০ নভেম্বর) গোষ্ঠীটির বেশ কয়েকটি ড্রোন তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রায় ১ ঘণ্টা যাবৎ চালু রাখা হয় সাইরেন। এর আগে মঙ্গলবার রামাত ডেভিড এয়ারবেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৩৪ বার আক্রমণ চালায় হিজবুল্লাহ। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।

তবে নিরাপত্তা শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে ইসরাইলিদের মন জয়ের জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় হামাসের হাতে অপহৃত জিম্মিদের মুক্তি দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সন্ধানদানকারী ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ইসরাইলে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। নেতানিয়াহু জানান, উপত্যকার হামাসের শাসনের দিন শেষ।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিম্মিদের ফেরত দিবেন, আমরা তাকে ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিয়ে ইসরাইলে নিয়ে আসবে। আমি জানি, আপনারা এখান থেকে বের হতে চান। তাই জিম্মিদের ফেরত দিন। সঙ্গে ৫০ লাখ ডলার নিয়ে যান। সিদ্ধান্ত আপনার ওপর।’

এদিকে গাজা ও লেবাননে নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। আইডিএফের হামলায় লেবাননের সামরিক বাহিনীর নিহত সদস্যের সংখ্যা অর্ধশত ছুইছই। বাদ যায়নি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর সদস্যও। এমন পরিস্থিতিতে লেবানন থেকে নিজেদের শান্তিরক্ষীদের ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। গাজার জাবালিয়ায় এক বেসামরিক ভবনে হামলায় চলছে উদ্ধারকাজ। উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘাত নিরসণে সমঝোতা চলছে ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নং প্রস্তাব বাস্তবায়ন দেখতে চাই। যাতে করে ইসরাইলি ও লেবানিজ বেসামরিক জনগণ ঘরে ফিরতে পারে।’

দোহায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর বন্ধ করা হলেও তা সাময়িক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কাতার সরকার বর্তমানে কোনো ধরনের মধ্যস্থতায় নেই। তাই দেশটিতে হামাসের অফিসও বন্ধ রয়েছে। হামাসের সদস্যরাও কাতারে অবস্থান করছেন না।

ইএ