এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি অতিক্রম করতে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি মিশনের মাঝপথে লক্ষ্য পরিবর্তনে সক্ষম বলে দাবি করছে তেহরান।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনার পারদ। লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর হামলার শিকার হচ্ছে একের পর এক ইসরাইলি বাণিজ্যিক জাহাজ। অবস্থা বেগতিক হওয়ায়, বহুজাতিক টাস্কফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি এসব হামলার পেছনে ইরান ছক কষছে বলে অভিযোগও তুলেছে ওয়াশিংটন। সবশেষ ভারত মহাসাগরে একটি রাসায়নিক ট্যাংকারে ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে সরাসরি দোষারোপও করেছে ওয়াশিংটন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও, নিজেদের অস্ত্র সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিলো তেহরান। যার আওতায় দেশটির নৌবাহিনীর ভান্ডারে যোগ করা হলো এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এমনকি মিশনের মাঝপথে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্য পরিবর্তন করতেও সক্ষম বলে দাবি করছে তেহরান।
ইরানের নৌবাহিনী কমান্ডার শাহরাম ইরানি বলেন, মিসাইলটিতে বুদ্ধিমত্তা শক্তি রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে আকাশে থাকা অবস্থায় গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার সক্ষমতা রাখে এটি। জটিল রুট প্ল্যানের মাধ্যমে শত্রুকে সর্বোচ্চ চমক দিতে পারে এটি।
অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ইরানের অস্ত্রভান্ডারে যোগ হয়েছে নজরদারি হেলিকপ্টার ও ড্রোন। সবকটি হাতিয়ারেই নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ইরান। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই, নিজস্ব প্রযুক্তিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করে শত্রুদের হুমকি ও হুঁশিয়ারি দেয়ার পাশাপাশি সমরাস্ত্র প্রযুক্তিতে নিজেদের উত্থানের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে ইরান। দেশটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগও তুলে আসছে পশ্চিমারা।





