এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের সেনারা।
মাত্র সাত দিন ইসরাইলের হামলা থেকে মুক্ত ছিলো গাজা উপত্যকা। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে অভিযোগ এনে সপ্তম দিনের পর উপত্যকায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জেরুজালেমে হামলার পরই বলা হয়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেই শুরু হবে হামলা। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, হামাস নীতি ভঙ্গ করে ইসরাইলি ভূখন্ডে হামলা চালিয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে দু'পক্ষের সংঘর্ষ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী আইডিএফ জানায়, হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে গাজার বিভিন্ন স্থানে আকাশ থেকে হামলা চালানো হবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, নিজেদের লক্ষ্য স্থির আছে তাদের। বন্দিদের মুক্ত করা হবে, হামাস নির্মূল করা হবে, সেইসঙ্গে গাজা যেন কোনদিন ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
যদিও ইসরাইল সফরে এসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বারবারই বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলছেন।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির শেষদিন মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিরা জানান ইসরাইলের কারাগারে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। চুক্তি অনুযায়ী, ৭ দিনে ১০০ জনের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে।
গেলো ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজার ৬০ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। কাতার, মিশর আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ৭ দিন কার্যকর ছিলো হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি।




