ফিলিস্তিনিদের কোন চিহ্ন থাকবে না গাজায়। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এসব ছবিই তার স্পষ্ট প্রমাণ।
ইসরাইলের হত্যা আর ধ্বংসের খেলা দেখতে দেখতে ক্লান্ত নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এই সময়ে এসে বিশ্ববাসীর কাছে একটাই চাওয়া, জীবনের নিরাপত্তা।
ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘শিশুহত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস, দারিদ্রতা, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যাওয়া, এসব কিছু আর নিতে পারছি না।’
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আরেকজন বলেন, ‘গাজা মরুভূমি হয়ে গেছে। এখানে কোন বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল কিছুই নেই। আর কী চায় ইসরাইল?’
আরেকজন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা কেবল শান্তি চায়। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যে বৈঠক করছেন সেখান থেকে যেন শান্তির বার্তা আসে।’
ইসরাইল শুধু সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে বিষয়টি তা নয়। সাংবাদিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তা এমনকি রেড ক্রিসেন্টের জরুরি সহায়তা কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না জায়োনবাদীদের ভয়াল থাবা থেকে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ড. ইউনিস আল খাতিব বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাদের হাতে রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা নিহত হয়েছে এর স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের কথাতেও সেটাই প্রমাণ হচ্ছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।’
এ পরিস্থিতিতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। কায়রোতে এক ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।
ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাচ্ছি। বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে শিগগিরই হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকরের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশে দেশে।