ভলোদিমির মানজোসকে পরিবারের সদস্যরা ডাকেন ওয়াওন নামে। পেশায় চিত্রশিল্পী ব্যক্তিটির জন্ম ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহরে। যা এখন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরী।
জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশেই দেয়ালচিত্র এঁকে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন মানজোস। শুধু তাই নয়, ওসাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দোকানের জন্য তৈরি করেছেন আর্ট ইনস্টলেশন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয় হারিয়ে ফেলেন মানজোস। ঠাঁই হয় রাস্তার পাশে। সেসময় জীবনের আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন এই শিল্পী। ভাবতেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শিল্পী হওয়াটাই বৃথা।
কিন্তু পরে নিজের চিন্তার সাথে নিজেই যুদ্ধ করলেন। বুঝতে পারলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে শিল্প ও সংস্কৃতির গুরুত্ব বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধিমান দেশটির নাগরিকরা, বিশেষ করে যুদ্ধের সময়। পরবর্তীতে এই ভাবনাকেই কাজে লাগান মানজোস। শিল্পকর্মকে তিনি রূপান্তর করলেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেয়ালচিত্র এঁকে খ্যাতি পাওয়া মানজোস কিয়েভের দেয়াল রাঙাতে শুরু করলেন।
ভলোদিমির মানজোস বলেন, 'আমার তৈরি এই শিল্প বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ বাস্তবতা অনেক নিষ্ঠুর ও হতাশাজনক। আর এটিই আমার ট্রেডমার্ক। আমার কাজগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের জন্য থেরাপিউটিক সুবিধা রয়েছে।'
কিয়েভ শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় গাড় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতীক পেঁচার বিশাল এক দেয়ালচিত্র এঁকেছেন মানজোস। গাড় এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই দুই সপ্তাহের বেশি সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ম্যুরালটি এঁকেছেন তিনি।
মানজোস স্বপ্ন দেখেন ইউক্রেনীয় জনগণের এই অগ্নিপরীক্ষা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। আর তখন তিনি প্রতিবাদ নয়, বরং কাজ করবেন বিজয় ও শান্তি নিয়ে।