মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বহরে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইস্যু হচ্ছে উচ্চহারের শুল্কনীতি। কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের নির্দেশ ট্রাম্পের। আর চীনের ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশ।
ট্রাম্পের এই নীতি নাড়িয়ে দিতে যাচ্ছে গোটা বিশ্বের বাণিজ্যিক ব্যবস্থা। প্রভাব পড়তে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। এ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়, কানাডা, মেক্সিকো ও চীন দিয়ে খেলা শুরু করেছেন ট্রাম্প। আশঙ্কা, এক এক করে ইউরোপ ও বিশ্বের ছোট ছোট দেশগুলোও পড়তে পারে মার্কিন শুল্কনীতির বেড়াজালে।
এর পক্ষের যুক্তিতে বলা হয়, এই তিন দেশের ওপর শুল্কারোপের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ বলতে পারেননি ট্রাম্প। একবার বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বাড়াতে তার এ সিদ্ধান্ত। আরেকবার বলছেন কূটনৈতিক টানাপড়েন মোকাবিলায় এসব দেশের ওপর উচ্চ হারে আমদানি কর বসিয়েছেন তিনি।
এখন প্রশ্ন হলো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এ শুল্কনীতি বিশ্বের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ। অর্থনীতিবিদের মতে, মার্কিন শুল্কের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রতো বটেই, গোটা বিশ্বেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপে প্রায় নিশ্চিতভাবেই মুদ্রাস্ফীতি হবে বলে আশঙ্কা নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ। দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।