দুদিনের ব্যবধানে দুটি বিমান দুর্ঘটনা-কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না মার্কিনবাসী। বেগ পোহাতে হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকেও। কারণ অনুসন্ধান ও সমস্যার সমাধানে ব্যস্ত সময় পার করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ডের সদস্য টড ইনমান বলেন, ‘কী ঘটেছে, তা আমরা খুঁজে বের করবোই। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে যা কিছু করা সম্ভব, সব করবো। দুটি দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা কাজ করছি বলে আমি চাই না যে কেউ ভাবুক এসব কাজ আমাদের জন্য নতুন কিছু। এসব কাজেই সপ্তাহভর ব্যস্ত সময় পার করতে হয় আমাদের।’
ওয়াশিংটনের পোটোম্যাক নদীতে বুধবার বিধ্বস্ত সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে বিমানটির দুটি ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উদঘাটন করেছে প্রশাসন। চলছে তথ্য বিশ্লেষণ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাঝ আকাশে বিমানে ধাক্কা দেয়া হেলিকপ্টারটি অতিরিক্ত উঁচুতে উড়ছিল, দুর্ঘটনার সময় ছিল অন্তত ৩২৫ ফিট উচ্চতায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এনটিএসবির নিরাপত্তা অনুসন্ধান কর্মকর্তা ব্রিস ব্যানিং বলেন, ‘হেলিকপ্টারটি যে পথে ছিল, সেখানে সর্বোচ্চ উচ্চতা থাকার কথা ২শ' ফিট। ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের তথ্য এখনও হাতে পাইনি আমরা। পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
অন্যদিকে, ফিলাডেলফিয়ার বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ছয় আরোহীবাহী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। ওড়ার এক মিনিটের মাথায় ভূপাতিত বিমানটির ভয়েজ রেকর্ডার এখনও মেলেনি। শঙ্কা রয়েছে, অক্ষত অবস্থায় নাও মিলতে পারে ব্ল্যাকবক্সটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এনটিএসবির চেয়ারম্যান জেনিফার হোমেনডি বলেন, ‘দুটো ইঞ্জিনের অবস্থান শনাক্ত করেছি আমরা। কিন্তু ককপিটের ভয়েজ রেকর্ডার এখনও খুঁজছি। এটা অক্ষত থাকতেও পারে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়তো ভেঙেচুরে গেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা বিরল হলেও গেলো কয়েক বছরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা এড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে আকাশপথে নিরাপত্তা নিয়ে।