বহু স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা টি-ডোম তৈরির ঘোষণা তাইওয়ানের

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে | ছবি: সংগৃহীত
0

শত্রুর হুমকি থেকে আত্মরক্ষা ও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর অংশ হিসেবে এবার বহু স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা টি-ডোম তৈরির ঘোষণা দিয়েছে তাইওয়ান। আজ (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) তাইওয়ানের জাতীয় দিবসে নতুন এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। এসময় দ্বীপটি দখলে বলপ্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। গেল কয়েক বছরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তে দ্বীপটির সমুদ্র অঞ্চলে শত শত যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। বিপরীতে নিজেদের সেনাবাহিনী আধুনিকায়নের কাজ করছে তাইওয়ান। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রও কিনছে তাইওয়ান।

তাইওয়ানের দাবি, ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ৫৬ বার চীনা বিমান অনুপ্রবেশ করেছিল দেশটিতে। আর ২০২১ সালে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা এলাকার ভেতর সামরিক বিমান পাঠিয়ে দ্বীপটির ওপর চাপ বাড়ায় চীন।

এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার তাইওয়ানের জাতীয় দিবসে নতুন একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এদিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে লাই চিং-তে বলেন, চলতি বছরের শেষভাগে বিশেষ একটি সামরিক বাজেট প্রস্তাব করা হবে। আরও দাবি করেন, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন হতে যাচ্ছে এই বাজেট।

আরও পড়ুন:

টি-ডোম নামের বহু স্তরবিশিষ্ট এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিদেশি সরঞ্জামের সমন্বয়ে গঠিত হলেও তৈরি হবে তাইওয়ানেই। আপগ্রেডেড প্রযুক্তির ব্যবহারে তৈরি এই ডোম পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হবে- এমন আশা করছে তাইপে। এমনকি ড্রোন, রকেট, অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান- একসাথে এই সব সমরাস্ত্র একাই মোকাবিলা করতে পারবে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

দীর্ঘদিন ধরেই চীনের সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি তাইওয়ান। তাই প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানোসহ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজ করছে দেশটির সরকার। যদিও চীনের সামরিক সক্ষমতার তুলনায় তা তেমন শক্তিশালী নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিশ্বে উৎপাদিত মোট কম্পিউটার চিপের বেশিরভাগ তৈরি করা এই দেশটির নিয়ন্ত্রণ চীনের দখলে চলে গেলে, কম্পিউটার চিপের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যা মোটেও স্বস্তির খবর নয়।

ইএ