ভূমি থেকে ৫০০ মিটার গভীরে গোপন সুড়ঙ্গে সাজানো সারি সারি স্পিডবোট। যাতে সংরক্ষিত আছে অসংখ্য ক্রুজ মিসাইল। ক্ষণে ক্ষণে টানেল থেকে বের করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এসব রণতরী।
গালফ উপসাগরীয় অঞ্চলে মাটির নিচের বিশাল নৌ-ঘাঁটি থেকে মূলত চালানো হয়েছে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। যার ভিডিও ধারণ করে রোববার (১৯ জানুয়ারি) সম্প্রচার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন 'ইরান স্টেট টিভি'। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গোপন এই নৌ-ঘাঁটিটি ইরানের।
প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে ঘায়েল করতেই সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন এই নৌ-ঘাঁটিটি তৈরি করেছে তেহরান। এমনটাই দাবি ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি। ইরান স্টেট টেলিভিশনের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানের নৌ বাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরিকে সঙ্গে নিয়ে নৌ-ঘাঁটিটি ঘুরে দেখছেন আইআরজিসি প্রধান।
হঠাৎ কেন তড়িঘড়ি করে একের পর এক শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে ইরান? কেনই বা বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে স্বাক্ষর করেছে ২০ বছর মেয়াদি সামরিক চুক্তি? কী কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নাতাঞ্জে চালিয়েছে সামরিক মহড়া? গেল কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে এমন প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এর পেছনে অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি। কেননা ট্রাম্পের শাসনামলে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ। তাই হয়তো শত্রুপক্ষের হাত থেকে নিজেদের রক্ষায় আগেভাগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।