এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে বিপাকে লেবাননের পর্যটন খাত

গাজায় সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সীমান্তঘেষা দেশগুলোর সংঘাত বেড়েছে চরমভাবে। এর জেরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের সংঘাতও বাড়ছে। ফলশ্রুতিতে বিপাকে পড়েছে লেবাননের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা। প্রায় প্রতিদিনিই বোমা হামলা আতঙ্কে লেবাবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশের পর্যটকরা। এতে প্রধান পর্যটন শহর সাইদাকের ব্যবসায়ীদের আয়ে পড়েছে ভাটা।

ইসরাইলের সঙ্গে ইরান সমর্থিত গাজার হামাস ও লেবাবননের হিজবুল্লাহসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা-পাল্টা হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার পারদ বেড়েছে কয়েকগুণ। হতাহতের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার পর সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে লেবানন। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সর্বত্রই কেবল আতঙ্ক আর হাহাকার।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে লেবাননের প্রধান পর্যটন শহর সাইদাকে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের এ শহরটিতে একসময় বিদেশি পর্যটকের ভিড় থাকলেও, বর্তমানে একেবারেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে এই শহর। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে ব্যবসায়ীদের আয়। লোকসানের ধাক্কায় টালমাটাল অবস্থা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা। পরিস্থিতি এমন যে, দোকানপাট আর ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন , 'আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পর্যটক না থাকায় আগের তুলনায় এখন আয় নেই বললেই চলে। এ বছর ইরাক, মিশর এবং ইউরোপ থেকে কেউ আসেননি। রাস্তাগুলো এখন বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে। কারণ সাইদা এবং এর আশপাশের প্রায়ই বোমা হামলা হয়। এই এলাকায় আমাদের ২ লাখ ৮০ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। এভাবে জীবনযাপন করা অসম্ভব।'

ব্যবসায়ীদের তথ্য বলছে, ২০১৯ সাল থেকে এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত হয়ে আছে লেবানন। কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ঘাটতিও চরমে। এরমধ্যেই ১১ মাস ধরে চলা হিজবুল্লাহ-ইসরাইল দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ অবস্থায় খুব দ্রুতই মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনার অবসান হবে, ঘরহারা মানুষেরা ফিরে পাবে জীবনের স্বাভাবিক গতি, ঘুরে দাঁড়াবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি। এমনটাই প্রত্যাশা লেবাননবাসীর।

এসএস