গনসালভেস ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তিনি ২০০১ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিলেন। তবে এবার তার ইউনিটি লেবার পার্টি ১৫ আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসন পায়।
অন্যদিকে গডউইন ফ্রাইডের নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বাকি ১৪টি আসনে জয়লাভ করে। মাত্র এক লাখ জনসংখ্যার পর্যটননির্ভর এ দ্বীপ রাষ্ট্রে এটি ছিল তার ব্যাপক বিজয়।
গনসালভেস শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি। তবে তার ছেলে ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্যামিলো গনসালভেস নিজ আসনে পরাজয় মেনে নেন।
আরও পড়ুন:
৬৬ বছর বয়সী ফ্রাইডে পেশায় ইতিহাসবিদ। তিনি নতুন মায়েদের আর্থিক সহায়তা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতির কারণে চাকরি হারানোদের পুনর্বাসন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ী হন।
তিনি জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোরও অঙ্গীকার করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ফ্রাইডে বলেন, ‘আমি জানি আমরা একটি দরিদ্র দেশ। তবে আমাদের যা আছে, তা দিয়ে আরও অনেক কিছু করা সম্ভব। আমি সবাইকে সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে।
ওয়াশিংটন বলছে, এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ঠেকানো। তবে কারাকাসের দাবি, এর লক্ষ্য মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
গনসালভেস আঞ্চলিক সংগঠন সেলাক-এ নিয়মিত মাদুরোকে সমর্থন করেছেন। তিনি ২০২৩ সালে মাদুরো ও গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলির মধ্যে এক বৈঠকের আয়োজন করেন।
তখন এসেকুইবো অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়। মাদুরোর পাশাপাশি গনসালভেস ছিলেন ব্রাজিলের বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও কিউবার মিগেল দিয়াজ-কানেলের ঘনিষ্ঠ।





