দুই হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে সুদানের আরএসএফ

আরএসএফের ধ্বংসযজ্ঞ
আরএসএফের ধ্বংসযজ্ঞ | ছবি: সংগৃহীত
0

দারফুরে এল-ফাশর ঘাঁটি থেকে সেনাবাহিনী পিছু হটার পরও হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ উঠেছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী- আরএসএফয়ের বিরুদ্ধে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় হাসপাতালে থাকা রোগীসহ দুই হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে তারা। এমন তথ্য তুলে ধরেছে সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ। নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।

১৭ মাস অবরোধের পর সম্প্রতি দারফুরে থাকা সেনাবাহিনীর সবশেষ শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশর দখলে নেয় সুদানের আধাসামরিক বাহিনী- আরএসএফ। এরপর সেখানে থাকা একটি হাসপাতালকেও টার্গেট করা হয়। খুব ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয় হাসপাতালটির ৪৬০ রোগী ও কর্মীকে।

প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে এমন তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর সেনাবাহিনীর তথ্য বলছে-২৬ ও ২৭ অক্টোবর মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় শহরটিতে সবমিলিয়ে দুই হাজার বেসামরিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ। এ তালিকায় ছিলো অনেক স্বেচ্ছাসেবকও।

আরও পড়ুন:

আইএফআরসি মুখপাত্র টমাসো ডেলা লঙ্গা বলেন, ‘আমাদের জন্য, এটা সত্যিই ভয়াবহ। আমরা ভীত, হতবাক, বিধ্বস্ত। অবশ্যই আমরা এই ধরণের ঘটনার নিন্দা জানাই। সুদানে সংঘাতের শুরু থেকে রেড ক্রিসেন্টের ২১ সহকর্মীকে হারিয়েছে।’

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত রোববার থেকে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এল-ফাশর থেকে পালিয়ে গেছেন। এমনকি বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচের বাসিন্দা হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পালানোর পথে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এবং যৌন নিপীড়নের খবরে নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। আরএসএফয়ের ওর ক্ষোভ ঝেড়েছে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, তুরস্ক, জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

আইন বিশেষজ্ঞ মাথিল্ডে ভু বলেন, ‘এল-ফাশরের বর্তমান পরিস্থিতি আসলেই একটি কালো বাক্সের মতো। শহরের ভেতরে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সত্যিই ভয় হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।’

২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আরএসএফ। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সেজু