গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে হামাস আংশিকভাবে রাজি হওয়ার পরেও উপত্যকাটিতে বন্ধ হয়নি ইসরাইলি আগ্রাসন। শনিবারও ইসরাইলি অভিযানে উপত্যকাটিতে প্রাণ গেছে বহু মানুষের।
যদিও ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, ট্রাম্প গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পর আগের চেয়ে কমেছে অভিযানের তীব্রতা। টাইমস অব ইসরাইল আরও বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি প্রস্তাব মেনে গাজায় হামলা বন্ধের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন নেতানিয়াহু ক্যাবিনেটের উগ্র-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ।
এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতানিয়াহু আরও দাবি করেছেন, জিম্মিদের রেহাই করা নিয়ে হামাস গড়িমসি করলে ইসরাইল তা সহ্য করবে না।
আরও পড়ুন:
নেতানিয়াহুর ভাষণের কিছু সময় পরেই ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দাবি করেন, প্রাথমিকভাবে গাজার নির্দিষ্ট সীমানা থেকে সেনা প্রত্যাহারে প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ইসরাইল। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, এখন হামাস সবুজ সংকেত দিলে গাজায় দ্রুত অস্ত্র বিরতি কার্যকর হবে।
এর আগে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প যে ২০টি প্রস্তাব দেন তার কয়েকটি মেনে নেয় হামাস। সেখানে নির্দিষ্ট অঞ্চলে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত ছিল না সংগঠনটি। এমনকি শনিবারও নেতানিয়াহু তার ভাষণে সাফ বলেছেন, গাজায় শান্তি ফেরানোর দ্বিতীয় ধাপে উপত্যকার স্পর্শকাতর অঞ্চল বা কন্ট্রোল অব ডেপথ জোনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলি সেনাদের।
এদিকে, গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার নৌবহর থেকে আটক অন্তত ১৩৭ জন মানবাধিকার-কর্মী নিরাপদে তুরস্কে পৌঁছেছেন। তাদের অনেকেই অভিযোগ, আটকের পর এই মানবাধিকার-কর্মীদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করেছে ইসরাইলি সেনারা। আর সবচেয়ে বেশি অশোভন আচরণ করা হয়েছে জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে।
অন্যদিকে, এত ইতিবাচক খবরের পরেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অনেকেরই আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে নেতানিয়াহু প্রশাসনের কারণে ভেস্তে যেতে পারে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার সব প্রচেষ্টা।





