নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের প্রতিবাদে ইউরোপে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ

ইউরোপজুড়ে চলছে বিক্ষোভ
ইউরোপজুড়ে চলছে বিক্ষোভ | ছবি : সংগৃহীত
0

নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের প্রতিবাদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ইতালি, স্পেনসহ কয়েকটি দেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনপন্থিরা। এসময় ফ্লোটিলার আটকদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

ইসরাইলি বাধায় গাজা উপত্যকায় পৌঁছাতে পারেনি ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। জাহাজ জব্দের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে বহরে থাকা আইনজীবী, চিকিৎসক, সেলিব্রেটিসহ কয়েক শ’ মানবাধিকার কর্মীকে। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। তবে ইসরাইলের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা নৌ অবরোধ লঙ্ঘন করা আইনসম্মত নয়।

এ ঘটনায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণবহরে ইসরাইলের বেআইনি হস্তক্ষেপ মানতে পারছেন না স্পেনের বাসিন্দারা। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। দখলে নেয় রাজধানী বার্সেলোনার সড়ক। এছাড়া মাদ্রিদ শহরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে স্পেনের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চেইন ফ্র্যাঞ্চাইজির রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও দোকানে। ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আউটলেটগুলোর দেয়ালে ফ্রি প্যালেস্টাইন, গণহত্যা বন্ধসহ ইসরাইল বিরোধী নানা স্লোগানে গ্রাফিতি করে বিক্ষোভকারীরা।

আরও পড়ুন:

ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানী রোমসহ নেপলস শহরে পুলিশের সংঘর্ষ হয় ফিলিস্তিনি সমর্থকদের। প্রতিবাদে নেপলস শহরের একটি সমুদ্র বন্দর অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে ছুড়ে পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা উপেক্ষা করে ফ্রান্স, গ্রিস, তিউনিসিয়ায় মার্কিন ও ইসরাইলি দূতাবাস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। গ্রিসের এথেন্স শহরে ঘেরাও করা ইসরাইলি দূতাবাস। এ সময় ইসরাইলের প্রতি চরম নিন্দা জানায়। এদিকে, ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ইসরাইলি দূতাবাস ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক নিজ দেশের বাসিন্দাদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ। নৌবহরে থাকা মেক্সিকান যাত্রীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবাউম। এ সময় তিনি ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

ফ্রিডল ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ডাবলিন, প্যারিস, বার্লিন, জেনেভাসহ ইউরোপের শহরে বিক্ষোভে নেমেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী।

ইএ