লন্ডনের হিথরো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ও জার্মানির বার্লিনসহ ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘ সাড়িতে দাঁড়িয়ে বিমানের অপেক্ষা হাজারো যাত্রীর। কোন ঘোষণা ছাড়াই বিলম্বিত হচ্ছে বিমানের শত শত ফ্লাইট। এমনকি বাতিলও হয়েছে অনেক ফ্লাইট। যদিও স্বাভাবিক রয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল।
মূলত এভিয়েশনের প্রাণকেন্দ্র বলে খ্যাত বিশ্বের অন্যতম বড় অ্যাভিয়েশন ও ডিফেন্স টেকনোলজি কোম্পানি কোলিন্স অ্যারোস্পেসে সাইবার হামলা হয়। মার্কিনভিত্তিক এ কোম্পানিটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে একাধিক সেবা দিয়ে থাকে। যার মধ্যে চেক-ইন ও ব্যাগেজ সেবা অন্যতম। হঠাৎ করে এই কোলিন্স এয়ারলাইন্সে সাইবার হামলার জেরেই মূলত বিমানবন্দরের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
সফটওয়ারে হামলা হওয়ায় অনেক বিমানবন্দর ম্যানুয়ালি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে এতে পরিস্থিতি কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছে না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অভিযোগ, মোবাইল ফোনে বোর্ডিং পাস পেয়েও বিমানের গেট থেকে পুনরায় চেক-ইনে পাঠানো হচ্ছে তাদের।
একজন জানান, এ সময়ে সাইবার হামলার মতো ঘটনা প্রত্যাশিত নয়। অনেক মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা এর বিকল্পও কিছু দেখছি না।
আরেক যাত্রী জানান, এয়ারপোর্টে পৌঁছানো মাত্রই জানতে পারি সাইবার হামলা হয়েছে। ফ্লাইট দেড়ি হতে পারে।
কবে নাগাদ এ সংকটের সমাধান হবে তাও জানা নেই তাদের। তাই সময়মতো নির্ধারিত গন্তব্য যেতে না পেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ যাত্রীদের। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীরা বেশি ভোগান্তিতে। যদিও কোলিন্স অ্যারোস্পেসের পক্ষ থেকে দ্রুত সংকট সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘সকাল ৬ টা থেকে রেডিওতে ঘোষণা শুনছিলাম সাইবার হামলার কারণে বিমানবন্দরে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। বেশ কিছু ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে।’
ঠিক কী কারণে এই সাইবার হামলা হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি এখনও। তবে এভিয়েশনের ইতিহাসে একে নজিরবিহীন হামলা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ক্রাউড স্ট্রাইকের ত্রুটিপূর্ণ সফ্টওয়্যার আপডেটের কারণে বিশ্বব্যাপী আইটি ক্র্যাশ ঘটে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকে কয়েক ঘণ্টা।





