ফরাসি ও ইংরেজিতে পরপর দুটি বিতর্কের পর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কানাডার ভোটের চিত্র। ভোটাররা মন স্থির করেছেন কাকে তারা বেছে নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলার জন্য যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। ইতোমধ্যেই আগাম ভোট দিতে লম্বা লাইন দেখা গেছে কানাডার বিভিন্ন অঞ্চলে।
বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপের তথ্য বলছে, জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে লিবারেল পার্টির প্রার্থী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেবল অর্থনৈতিক উন্নতি, মূল্যস্ফীতি হ্রাস আর আবাসনের মতো বিষয়ই চাচ্ছেন না নাগরিকরা। তারা মনে করছেন, বিশ্ব সমস্যা সমাধানে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কী ভূমিকা রাখতে পারবেন সেদিকেও জোর দিতে হবে।
এক তরুণী বলেন, 'ফিলিস্তিনবিরোধী বর্ণবাদের উত্থান হচ্ছে, ইসলামোফোবিয়ার উত্থান হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে। গণহত্যার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীকে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে।'
বিশ্লেষকরা মনে করেন, জরিপে লিবারেল পার্টি এগিয়ে থাকায় তাদের জয়ের সুযোগ কনজারভেটিভ পার্টি থেকে বেশি। যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার চালানো কঠিন হবে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা মোটেই সোজা নয়।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস গ্রেস স্কোগস্ট্যাড বলেন, '৬০ শতাংশ মানুষ ঠিক করে ফেলেছে তারা কাকে ভোট দেবেন। ৪০ শতাংশের ফলাফল দেখা এখনও। নির্বাচনি বিতর্ক আসলে মানুষের সিদ্ধান্তে পুরোপুরি পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। লিবারেল পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টি দুই দলই চায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য লড়াই করুক কানাডা। এই একটা ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই।'
আগামী ২৮ এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটের পর জানা যাবে কে হচ্ছেন কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।