ইউএসএআইডির ফান্ড বন্ধ, উচ্চশিক্ষা ছেড়ে দেশে ফিরছেন ৮০ আফগান নারী

ইউএসএআইডির ফান্ড বন্ধ, উচ্চশিক্ষা ছেড়ে দেশে ফিরছেন ৮০ আফগান নারী | এখন
0

ইউএসএআইডির ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন উচ্চশিক্ষার জন্য ওমানে যাওয়া অন্তত ৮০ জন আফগান নারী। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সংস্থাটির প্রায় ৯০ শতাংশ বৈদেশিক সহায়তা তহবিল স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ওমানে পড়তে আসা অন্তত ৮২ নারীর ইউএস ফান্ডেড স্কলারশিপ বাতিল হয়ে গেছে।

২০২১ সালে তালেবান শাসকগোষ্ঠীর দ্বিতীয় দফায় কাবুলের ক্ষমতা দখলের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হন ৮০ আফগান নারী। এর ঠিক পরের বছর ডিসেম্বরে নারীর উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালেবান সরকার। ১৮ মাস গৃহবন্দি থাকার পর ২০২৩ এর সেপ্টেম্বরে উচ্চশিক্ষার আশায় পাকিস্তানে পালিয়ে যান ঐ আফগান নারীরা।

পরবর্তীতে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ভিসা সংগ্রহ করে ২০২৪ এর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পাড়ি জমানো ওমানে।

ওমেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় পড়তে থাকা ঐ নারীদের স্কলারশিপ বাতিল করে গেল সপ্তাহে একটি নোটিশ দেয় ইউএসএআইডি। নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানায় মার্কিন সংস্থাটি।

গেল ৪ বছরের শাসনামলে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া থেকে শুরু করে বেশিরভাগ পেশায় চাকরি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তালেবান সরকার। সেই সময় থেকেই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ ও শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে আফগান নারীরা। যদিও নারী স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা সমাজকর্মীদের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতি হাতে রাখতে বদ্ধপরিকর তালেবান সরকার।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের সক্ষমতা বিভাগের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অন্তত ৯০ শতাংশ তহবিল বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। এর পরপরই স্কলারশিপ আটকে যায় অন্তত ৮২ নারীর।

যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য যে ৮০ জন নারী দেশ থেকে পালিয়েছিলেন কাবুলে ফেরার পর তাদের সাথে কী আচরণ করবে তালেবান সরকার সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ইএ