বিদেশে এখন
0

মার্কিন সেনা অভিযানে একদিনে আটক ১ হাজারের বেশি অভিবাসী

যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১ হাজরের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ধাপে ধাপে তাদের দেশে ফেরানোর কাজ চলছে। ট্রাম্পের কঠোর এ অভিবাসন নীতিতে ভেঙ্গে চৌচির হাজারো আশ্রয়প্রার্থীর স্বপ্ন।

হাতে পায়ে শেকল পড়িয়ে এক এক করে তোলা হচ্ছে সামরিক এয়ারক্রাফটে। ভাগ্য উন্নয়নের প্রত্যাশায় দু'চোখ ভরে স্বপ্ন নিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে বিদায় নিতে হবে তা হয়তো কখনও ভাবেনি এসব অভিবাসীরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন পর থেকেই অবৈধ অভিবাসী ধরতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে ধরপাকড়। সেই ভয়ে অনেক অভিবাসীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। চার দেয়ালের মাঝে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। বাড়ি-ঘর, রেস্টুরেন্ট, গির্জা যেখান থেকে পারছে অবৈধদের ধরে নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার দেশটি থেকে প্রায় ১ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে পেন্টাগন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণপ্রত্যাবাসনের পাশাপাশি চলছে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের কাজ। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দিনরাত এক করে মেক্সিকো সীমান্তে পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

অভিবাসন নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করে তুলেছে অনেককে। মেক্সিকো সীমান্তে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা এখন চরম বিপদে। মার্কিন মুল্লুকে যাওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে অথৈই সাগরে ভাসছেন তারা।

আশ্রয়প্রার্থীদের একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল আমাদের। এখন ট্রাম্প বলছেন, মেক্সিকো থাকতে।’

আরেকজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়া ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য। এখন সেই স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেল। নিজ দেশ হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফিরতে পারবো না। সেখানে নিরাপদ নই।’

এ পরিস্থিতিতে মেক্সিকোর ভেনিজুয়েলা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকরা। নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান তাদের।

অভিবাসন ও ট্যাক্স নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে তহবিল সংক্রান্ত বিল পাশে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ- প্রতিনিধি সভায় কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেসময় সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনে জোর দেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়ন করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে কংগ্রেসের এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় তহবিল কংগ্রেসে পাশ হতে হবে।'

ইএ