তেলআবিবে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ, সিউলে দু’পক্ষের আন্দোলন অব্যাহত

0

অবরুদ্ধ গাজায় হামলা জোরদারের মধ্যেই তেল আবিবে নেতানিয়াহুবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ইসরাইলিরা। এসময়, অবিলম্বে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নেতানিয়াহুর পতদ্যাগও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে রাজধানী সিউলে। তীব্র তুষরাপাত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই এদিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেন হাজারো বাসিন্দা।

মুখ বাধা, কপালে আঘাতের চিহ্ন, হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। গাজায় গেল প্রায় দেড় বছর ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে এভাবেই রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। কণ্ঠে ছিল নেতানিয়াহুবিরোধী স্লোগান। এসময় আবেগপ্রবণও হয়ে পড়তে দেখা যায় অনেককে।

কড়া পুলিশি প্রহরায় বিক্ষোভ এগিয়ে চললেও, এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে বিক্ষোভকারীরা সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় অনেককে।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি কারণ জিম্মিদের উদ্ধারে সরকার কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। উল্টো গাজা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। গেল ১৬ মাস ধরে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন আমরা তাদেরকে স্মরণ করলেও, সরকার কিছু করছেনা। সময় হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে আনার।’

আরেকজন বলেন, ‘ইসরাইলের গণতন্ত্র নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমি একজন শিক্ষক, এখানে যা হচ্ছে, তাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে আমি চিন্তিত। আমার সন্তান, তাদের সন্তান তারা এখানে কতটা নিরাপদ এই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়।’

এদিকে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলেও। যদিও, মার্শাল ল জারির অপরাধে দেশটির অভিসংশিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে হাজার হাজার কোরীয় নাগরিককে।

সম্প্রতি পার্লামেন্টে অভিসংশনের শিকার প্রেসিডেন্ট ইওল কয়েক দফা আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গেল শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তারে তার বাসভবনে পুলিশ প্রবেশ করলে, টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টার পরও ইওলকে আটকে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। যা অব্যাহত রয়েছে আজ (রোববার, ৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

ইওলের সমর্থকদের দাবি, তিনি যা করেছেন সংবিধান মতে এবং দেশের স্বার্থেই করেছেন। আর যা হচ্ছে তা স্রেফ তাকে হয়রানি করার জন্য। অন্যদিকে ইওলবিরোধীদের অভিযোগ, মার্শাল ল জারি করে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। আর এজন্য অবশ্যই তাকে বিচারের আওতায় এনে সাজা দেয়া উচিত।

ইএ