খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদযাপনে সারাবিশ্বের নজর কাড়ে এমন আয়োজনের কথা উঠলে শুরুতেই মাথায় আসবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজের নাম। প্রতিবছরের মতো এবারও, নিউ ইয়ার ইভ উপলক্ষে জমকালো সাজে সাজানো হয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজ।
হারবার ব্রিজের সামনে স্থানীয়দের পাশাপাশি হাজির হন অন্তত ১০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক। দ্য স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সিডনি হারবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান দেখেছেন বিশ্বের ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ।
এর আগে, ইউনিয়ার ইভে জমকালো প্রদর্শনী দেখতে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অকল্যান্ডের ৩২৮ মিটার লম্বা স্কাই টাওয়ারে ভিড় করেন দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়রা। স্থানীয় সময় রাত ১২টায় অকল্যান্ডের হারবার ব্রিজে শুরু হয় ভেক্টর লাইটের খেলা, আতশবাজির আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে দ্বীপের আকাশ।
জেজু এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত হওয়ায় খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আয়োজন সীমিত করে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপানের টোকিওর টোকুডাই-জি মন্দিরে ঘণ্টা বাজিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেন জাপানিরা। আর বেইজিংয়ের সোগান পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষ বরণ করেছে চীন।
ভিক্টোরিয়া হারবারে ১২মিনিট ধরে টানা আতশবাজির উৎসব পালন করেছে প্রাচ্যের লন্ডন খ্যাত দেশ হংকং। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের ১০১ তলা উঁচু ওয়ার্ল্ড ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারের ওপর টানা ৬ মিনিট আতশবাজির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার বালির দ্বীপে জড়ো হয়ে বর্ষবরণের আয়োজনের অংশ নেন হাজারো পর্যটক, স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বুদ্ধের মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড।