বন্যার পানির ভয়াবহ স্রোতে ভাসছে সড়ক-মহাসড়কে থাকা গাড়িগুলো। দৃশ্যটি মরুর দেশ সৌদি আরবের। ২৭ অক্টোবর থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে এই হাল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মক্কা নগরী। ভারী বর্ষণ তলিয়ে গেছে পবিত্র কাবা চত্ত্বরও।
আকস্মিক বন্যায় রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় পুরো শহরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মদীনা এবং জেদ্দাও ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার কবলে। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মুসল্লিরাও।
দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো এড়িয়ে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে ঘরে ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেয়া হয়েছে।
কালো মেঘের ঘনঘটা এখনও বিরাজ করছে সৌদি আরবের আকাশে। এ অবস্থায় হাইল, কাসিম, আসির এবং জিজানসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আরও বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওহাওয়া বিভাগ। এরমধ্যে ২ ও ৩ নভেম্বর মক্কা, মদিনা, রিয়াদসহ উত্তরের কিছু অঞ্চলে তীব্র বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছে।
শহরগুলোর পানি নিষ্কাশন সক্ষমতার বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্যার্তদের জরুরি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন।