সিলেটে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় ১০ হাজার মানুষ

সিলেটের জলাবদ্ধতার পুরোনো ছবি
সিলেটের জলাবদ্ধতার পুরোনো ছবি | ছবি: এখন টিভি
0

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই সিলেটে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। তবে বর্ষার আগে অন্যান্য বছর খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হলেও এবার দেখা যায়নি এমন কোনো দৃশ্য। এতে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় সিলেট নগরবাসী। সিটি করপোরেশন বলছে, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্পগুলো এখন অনেকটাই স্থবির। এই সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় শঙ্কায় রয়েছেন এলাকায় বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

সিলেট নগরীর নাইওরপুল এলাকা, সূর্যের খরতাপ কিংবা শুষ্ক মৌসুমে বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি থাকলেও অল্প বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বদলে যায় পুরো শহরের চিত্র। বিশেষ করে বর্ষায় দুর্ভোগ পৌঁছায় চরমে।

একই চিত্র নগরীর অন্যান্য এলাকারও। ভুক্তভোগীরা জানান, জলাবদ্ধতা এখন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। গ্রীষ্মের বৃষ্টিতেও হাঁটুজলে ডুবে যায় রাস্তা-ঘাট, বাড়ির সামনের এলাকা। এজন্য অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সময়মত খাল-ড্রেন পরিষ্কার না করাকে দুষছেন তারা।

স্থানীয় একজন যুবক বলেন, বহু সরকার, কাউন্সিলর ও মেয়র এসেছে, কিন্তু কেউ এগুলোর সমাধান করে দিতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছর ড্রেন পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালায় সিটি করপোরেশন। এর পরেও কিছু এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়। তবে এ বছর বর্ষার আগে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

তারা বলছেন, যে ধরনের অপরিকল্পিত নগরায়ণ চলছে, মনে হচ্ছে যে সিলেট পুরোটাই ধীরে ধীরে পানির নিচে চলে যাচ্ছে।

নগরীর এমন পরিস্থিতির জন্য সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতাকে দুষছেন পরিবেশবিদরা। পাশাপাশি বর্জ্য ফেলার ক্ষেত্রে নাগরিকদের আরও সাবধান হওয়ার পরামর্শ তাদের।

পরিবেশকর্মী অ্যাড. অরুপ শ্যাম বাপ্পী বলেন, ‌‌‘দেখা যায়, কোনোমতে দায়সারা গোছের কাজ করছে সিটি করপোরেশন।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘প্রতি বছর বন্যার পূর্বেই খালগুলোকে পরিষ্কার করা দরকার। সিলেট সিটি করপোরেশন নাগরিকদের কাছে প্রত্যাশা করে যে এইভাবে নাগরিকরা যেন আবর্জনা না ফেলেন।’‌‌

এদিকে, খাল ও নালার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া প্রকল্পগুলো অনেকটাই স্থবির বলছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে আমরা সেভাবে বরাদ্দ পাচ্ছি না আসলে। আমরা কাজ করছি, তবে এ ব্যাপারে আমরাও শঙ্কিত যে, এবারও জলাবদ্ধতা হবে।’

বর্ষা শুরুর আগে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি বাসিন্দাদের।

এসএইচ