বিদেশে এখন
0

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের মূলপর্ব

টেকসই উন্নয়ন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা। এই প্রতিপাদ্যে আগামী মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের মূলপর্ব। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাতসহ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও শিক্ষার ঝুঁকির মতো ইস্যুগুলো গুরুত্ব পাবে বিশ্বনেতাদের আলোচনায়। অধিবেশন ঘিরে নিউইয়র্কে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে একত্রিত হন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৯তম অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। এ বছর সাধারণ পরিষদে ৮৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানসহ ১৪২ জন বিশ্বনেতা অংশ নিচ্ছেন।

এবারের প্রতিপাদ্য টেকসই উন্নয়ন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন নেতারা।

আসন্ন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গুরুত্ব পাবে টেকসই উন্নয়ন, দ্বন্দ্ব নিরসন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার মতো বিষয়গুলো। এছাড়াও চলমান গাজা-ইসরাইল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বিশেষভাবে প্রাধান্য পেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা ইস্যু। ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন বিশ্বনেতারা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান অস্থিরতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ। সবাইকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সহিংসতা বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। শত্রুতা বন্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কমাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান।’

বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এছাড়া, সম্প্রতি দাবানল, খড়া, অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তাই উন্নত ও অনুন্নত সব দেশের নেতাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় থাকবে জলবায়ু।

ডিজিটাল অবকাঠামো ও সাক্ষরতা একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়নের অন্যতম উপাদান। তবে বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার শিশুদের বিকাশকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। প্রযুক্তির যথাযত ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাখাতে এর ভূমিকা নিয়ে সাইড লাইনে আলোচনা হতে পারে।

এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশন ঘিরে নিউইয়র্ক শহরজুড়ে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনো ধরনের হামলা বা নিরাপত্তার হুমকি নেই বলে জানায় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।

নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিশনার থমাস জি ডনলন বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ সবাই একই লক্ষ্যে কাজ করবে। তা হবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি এখানকার সবার চলাফেরা নির্বিঘ্ন করা। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের প্রতিটি বিভাগ সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে।’

বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে একটি সমঝোতায় উপনীত হতে একত্রিত হচ্ছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত বছরের মতো চীন ও রাশিয়া অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকতে পারে।

ইএ