চীন ও ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনামেও তাণ্ডব চালিয়েছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এশিয়ায় বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি শনিবার আঘাত হানে ভিয়েতনামের উত্তর উপকূলের কুয়াং নিন প্রদেশে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১শ' ৬০ কিলোমিটার।
ঝড়ো বাতাসের কারণে ভেঙ্গে গেছে অসংখ্য বাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী হ্যানয়সহ বিভিন্ন অঞ্চল। উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। ১২টি রাজ্যে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমার পুরো জীবনে এমন বিধ্বংসী টাইফুন দেখিনি। অনেক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। আমাকে সেতুর নিচে আশ্রয় নিতে হলো। প্রলয়ঙ্কারী টাইফুন ছিলো। এই বাতাসে কোনোভাবেই মোটরসাইকেল চালাতে পারছিলাম না।’
আরেকজন বলেন, ‘এই বাতাসে মানুষ উড়ে যেতে পারে। খুবই ভয়ঙ্কর ছিলো। প্রথমবারের মতো এমন টাইফুনের মুখোমুখি হলাম। ভয়ে বাড়ি যেতে পারছি না।’
নিম্নচাপে পরিণত হলেও ইয়াগির প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে ভিয়েতনামে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জারি করেছে বন্যা ও ভূমিধস সতর্কতা। ইতোমধ্যে গাছ উপড়ে ও ভূমিধসে কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া। বর্তমানে শক্তি হারিয়ে ইয়াগি অগ্রসর হচ্ছে লাওসের দিকে।
এদিকে তাণ্ডবলীলার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে হাইনানের জীবনযাত্রা। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপটি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া বাসিন্দারা ফিরছেন নিজেদের আবাসস্থলে। পরিস্কার করা হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত।