নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের ব্যবধান বাড়াচ্ছেন কামালা হ্যারিস। রয়টার্স ইপসোসের সবশেষ জনমত জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ৪ দিনের মধ্যে কামালার ৬ষ্ঠ জয় এটি। অন্যদিকে ৪১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার সক্ষমতা রাখা ৭টি সুইং স্টেটে মিলছে ভিন্ন তথ্য। রয়টার্স ইপসোসের জরিপ বলছে ৪৫ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ট্রাম্প কামালার চেয়ে এগিয়ে আছেন ২ শতাংশ ব্যবধানে। ব্লুমবার্গ নিউজ ও মর্নিং কনসাল্টের আলাদা জনজরিপে রিপাবলিকানদের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বিশ্লেষকদের ধারণা, উদ্যোম ও মনোবলের কারণে অশ্বেতাঙ্গ, নারী ও স্বতন্ত্র ভোটারদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন কামালা।
শেইনকফ কমিউনিকেশনস প্রেসিডেন্ট ড. হ্যাঙ্ক শেইনকফ বলেন, ‘উদ্দীপনা ও মনোবলে ভরপুর কামালা। তিনি জনমত জরিপেও এগিয়ে আছে। কয়েকটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তিনি কাজ করছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের কী করার আছে? প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা ছাড়া তিনি কিছুই পারেন না।’
নির্বাচন ঘিরে বেশ জোরেসোরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্রার্থী। জরিপের ফলকে প্রাধান্য না দিয়ে কর্মীদের কাজ চালিয়ে যাবার আহ্বান কামালার। জর্জিয়ায় প্রচারণা চালানোর সময় সমালোচনা করেন রিপাবলিকানদের গর্ভপাত নিষিদ্ধের নীতি নিয়েও। অঙ্গীকার করেন, ক্ষমতায় আসলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য দেয়া হবে কর মওকুফের সুবিধা।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলছে। তাই জরিপকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ আমরা আন্ডারডগ। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমই ভালো কাজ।’
অন্যদিকে মিশিগানে এক জনসভায় ট্রাম্প জানান, মার্কিনরা আরো সন্তান চায়। তাই নির্বাচিত হলে নারীদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা আইভিএফের অর্থ ব্যয় করবে সরকার বা বীমা প্রতিষ্ঠান।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আজ ঘোষণা করছি, ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাচিত হলে সরকার কিংবা বীমা প্রতিষ্ঠান আইভিএফ বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহন করবে। কারণ আমরা আরও সন্তান চাই।’
এদিকে, প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা নির্বিঘ্ন করতে ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের জন্য অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বরাদ্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।