বিদেশে এখন
0

গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ কর্মহীন

গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ এখন কর্মহীন, যত দিন যাচ্ছে বাড়ছে বেকারত্ব। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনজুড়ে বেকার হয়েছে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ( আইএলও) বলছে, অঞ্চলটিতে বেকারত্বের প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ।

গাজায় টানা ৮ মাসের যুদ্ধে চাকরি ও কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শুধু গাজা উপত্যকায় বেকারত্বের হার পৌঁছেছে প্রায় ৮০ শতাংশে। ফিলিস্তিনের কর্মসংস্থানের ওপর যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।

সংস্থাটি বলছে, শুধু গাজা নয়, পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। সব মিলিয়ে পুরো ফিলিস্তিনের অর্ধেক মানুষ এখন কর্মহীন। যারা চাকরি খোঁজা ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়েই এ হিসাব করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে প্রকৃত বেকারত্বের চিত্র আরও ভয়ানক।

২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় অর্ধেকই দরিদ্র। টানা আট মাসের যুদ্ধে আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তারা পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করতে পারছেন না সামান্য খাবারও। এমনকি অর্থ থাকলেও উপযুক্ত হাসপাতালের অভাবে পাচ্ছে না চিকিৎসা সেবা।

আইএলওর তথ্য মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলের প্রকৃত জিডিপি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। গাজায় এই হার কমেছে ৮৩.৫ শতাংশ আর পশ্চিম তীরে ২২.৭ শতাংশ। যুদ্ধের কারণে দেউলিয়া হয়ে গেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের ইসরাইলে কাজ করার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বাড়ছে বেকারত্বের হার।

ফিলিস্তিনের আয়ের উৎস কমার আরেকটি বড় কারণ পশ্চিম তীরের রাজস্ব তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। এসব অর্থ বাজেট, সরকারি ব্যয় ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করতো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মাদ আবু আল-রুব বলেন, 'ফিলিস্তিনের রাজস্ব তহবিল এখনও ইসরাইলের হাতে। যা ফিলিস্তিনের বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ। জনগণ তাদের আয়ের সিংহভাগ হারিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। এছাড়া, গত আট মাসে চাকরি হারিয়েছে প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনি।'

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনি সম্পদ ও ভূমি ব্যবহার করে তাদের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ইসরাইল। যা ফিলিস্তিনকে পরিণত করেছে একটি দুর্বল অর্থনীতির অঞ্চল হিসেবে।

ইএ