পাকিস্তানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২ রুপি ৮৩ পয়সা। বিদ্যুতের সেবা পেতে এতো চড়া দাম দিয়েও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে দেশটির সাধারণ জনগণ। রাজধানী করাচির বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয় তাদের। এমনকি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও বিদ্যুতের পরিস্থিতি একই।
স্থানীয়দের একজন বলেন, 'সৌর বিদ্যুতের প্যানেল কিনতে এসেছি। কারণ আমার ক্লিনিকে কারেন্ট থাকে না। প্রতিদিনই একেকবার দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। এতে করে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।'
বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে পাকিস্তানজুড়ে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। গ্রিডের বিদ্যুতের পরিবর্তে জায়গা করে নিচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ।
এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন সৌর বিদ্যুতের সাশ্রয়ী মূল্য।
আরেকজন বলেন, 'দৈনিক ৪ থেকে ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন আমার বাসায়। সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে যার প্রায় অর্ধেক চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। এতে বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে।'
অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল থেকে বাঁচতে মানুষ সৌর বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে। অন্যদিকে সৌর বিদ্যুতের দাম তূলনামূলক কম। তাই বাজারে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের ক্রেতা অনেক বেশি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তান জ্বালানি খাতে শুল্ক বাড়িয়েছে। আর এতেই সম্ভবনা বেড়েছে সৌর বিদ্যুৎ খাতের। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে সাড়ে ১২ শ' মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। ২০২১ সালের চেয়ে যা বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। এরইমধ্যে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে দেশটির সরকার।