বিদেশে এখন

শরিকদের চাপ সত্ত্বেও স্পিকার পদ ছাড়তে চাইছে না বিজেপি

'মোদি থ্রি পয়েন্ট ও' সরকারের বহুল প্রতীক্ষিত মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণা শেষ। এখন স্পিকার পদ ঘিরেই সব আলোচনা। শরিকদের চাপ সত্ত্বেও স্পিকার পদ ছাড়তে চাইছে না বিজেপি। এদিকে জেপি নাড্ডা মন্ত্রী পরিষদে স্থান পাওয়ায় খালি হয়ে গেছে বিজেপি সভাপতির পদ। গুরুত্বপূর্ণ দুই পদ পাচ্ছেন কারা, এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।

শরিক নামের কাটা গলায় নিয়ে শপথ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো জোট গড়ে ক্ষমতায় আসায় মন্ত্রিপরিষদে স্থান পেয়েছেন রেকর্ড ৭২ সদস্য। মোদির তৃতীয় মেয়াদের সরকারে প্রধান দুটি শূন্য স্থান- স্পিকার ও দলীয় প্রধান নির্বাচনকে ঘিরে এখন সব আলোচনা।

লোকসভার স্পিকার হিসেবে ওম বিরলার দায়িত্ব চালিয়ে যাবার সম্ভাবনা জোরালো। নির্বাচনে টানা দুইবার রাজস্থানের কোটা থেকে জয় পেয়েছেন বিজেপির এই নেতা। গেল কয়েকবছর ভারতের রাজনীতিতে দল ভাঙ্গা ও গড়ার বিদ্রোহে অংশ নিয়েছেন সাংসদরা। এমন প্রেক্ষাপটে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে কী না, বিষয়টি নির্ধারণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন স্পিকার। তাই আত্মরক্ষার্থে স্পিকারের পোস্ট ছাড়তে নারাজ এনডিএ জোটের শরিক তেলেগু দেশাম পার্টি ও জনতা দল ইউনাইটেড।

এর মধ্যেই ভারতের গণমাধ্যমে ওম বিরলার পরিবর্তে ভেসে আসছে ডি পুরন্দেশ্বরীর নাম। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পুরন্দেশ্বরী রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেতা এনটিআর এর মেয়ে। কংগ্রেসের রাজনীতিতে লোকসভায় আসলেও দলীয় কোন্দলে ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন পুরন্দেশ্বরী। নতুন মন্ত্রিপরিষদে তিনবারের এমপির স্থান না হওয়ায় অনেকেরই ধারণা, লোকসভার স্পিকার হিসেবে দাবার গুটির মতো পুরন্দেশ্বরীকে ব্যবহার করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

নতুন মন্ত্রিপরিষদে স্থান পেয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাই খালি হয়ে গেছে দলীয় প্রধানের স্থান। চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাসহ ৪টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। জেপি নাড্ডার স্থলাভিষিক্ত হবার তালিকায় সবার ওপরে আছেন অনুরাগ ঠাকুর। পঞ্চমবারের মতো হিমাচল থেকে জয় পেলেও অনুরাগ বাদ পরেন মন্ত্রিপরিষদ থেকে। এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, নাড্ডার পর বিজেপি প্রধানের ব্যাটন আসবে ঠাকুরের হাতে। অনুরাগকে সাহস যোগাচ্ছে পাঁচ বছর বিজেপির যুব সংগঠনের সভাপতি থাকার অভিজ্ঞতা। 

তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা বিনোদ তাওরে ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনিল বানসাল। এছাড়াও দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র রাজস্থানের নেতা ওম মাথুর।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর