বিদেশে এখন
0

ভারতে সংশোধিত হারে ৪ পর্বে বেড়েছে ১ কোটির বেশি ভোটার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম চার পর্বে সংশোধিত ভোটার উপস্থিতির হারে যোগ হয়েছে ১ কোটির বেশি ভোট। বিজেপিকে নির্বাচনি বৈতরণী পার করতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ। এই পর্বে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কঙ্গনা রানাউতের মতো তারকারা।

টানা তৃতীয়বারের মতো বিজেপিকে ক্ষমতায় আসার মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলো এই অভিযোগ করলে হয়তো দাবিটি তেমন আলোচনায় আসতো না। তবে এই অভিযোগ করেছেন খোদ ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন শুরুর আগেই কমিশনকে নিয়ে বিজেপির হস্তক্ষেপ নিয়ে বাড়ে উৎকণ্ঠা। সরিয়ে দেয়া হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। পরিবর্তন আনা হয় সিইসি নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। বারবার সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের মাধ্যমে সহিংসতা উস্কে দেয়ার প্রমাণ মিললেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ৪ দিন পর প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে লোক দেখানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

নির্বাচন শুরুর পর আলোচনায় আসে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি। চতুর্থ পর্ব ছাড়া বাকি সব পর্বেই ভোট গ্রহণের হার ছিল ২০১৯ এর চেয়ে কম। ১ম পর্বের ভোটগ্রহণের ১১ দিন পর সংশোধিত ভোটার উপস্থিতির হার প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ পর্ব শেষে দেখা যায়, সংশোধিত হারে যোগ হয়েছে ১ কোটির বেশি ভোটার। যদিও অরাজকতা তৈরির মতো অদ্ভুত যুক্তিতে প্রকাশ করা হচ্ছে না কোনো আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ও মোট ভোটদানকারী ব্যক্তির সংখ্যা। এতে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মানু বলেন, 'এই বিষয়টি যদি তুলে না ধরা যায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ উঠবে। ভোটার জালিয়াতির মাধ্যমে বিজেপিকে নির্বাচনে জিততে সহায়তা করবে।'

আলোচনা-সমালোচনার মাঝে ভারতের ৭ পর্বের ম্যারাথন লোকসভা নির্বাচনের পর্দা নামতে চলছে শনিবার। শেষ পর্বে ভোট হবে ৭টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৭টি আসনে। যার মধ্যে হিমাচল ও পাঞ্জাব রাজ্যে ভোট হবে সবকটি আসনেই।

৫৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০৪জন প্রার্থী। হেভিওয়েটদের লড়াই চলবে ৭ম পর্বেও। উত্তর প্রদেশের বারাণসির আসনে নরেন্দ্র মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা অজয় রায়। ২০১৪ ও ২০১৯ এর পর আসনটি থেকে হ্যাট্রিক জয়ের লক্ষ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।

পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার আসন থেকে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজয়ে স্বাদ দিয়েছিলেন অভিষেক। এবার অভিষেকের প্রধান প্রতিপক্ষ কমিউনিস্ট পার্টি ও বিজেপির ২ প্রার্থী।

রাজনীতিবিদদের সমানে পাল্লা দিচ্ছেন অভিনয়শিল্পীরা। হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীতা দিয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে। নবাগত এই রাজনীতিবিদের প্রতিপক্ষ রাজ্যের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের গোরাখপুর আসন থেকে লড়ছেন জনপ্রিয় ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষান। আগের নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয় পেয়েছিলেন তিনি।

আগামী ৫ বছর বিশ্বের ৫ম বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির শাসনভার পাবে কোন দল, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ঠা জুন পর্যন্ত।

ইএ