১৮তম লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় সোমবার (১৩ মে) ভারতে ভোট হয়েছে নয়টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৬টি আসনে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেও ভোট হয় এদিন।
চতুর্থ আট আসনে এদিন ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে বোলপুরে, প্রায় ৭৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম আসানসোলে, ৭০ শতাংশের কম। যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যেন নজর দেন জনপ্রতিনিধিরা, এমনটাই আশা তরুণ ভোটারদের।
তরুণ ভোটার একজন বলেন, 'নতুন কর্মসংস্থান হলে তরুণদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে।'
এদিন রাজ্যের পাঁচ জেলায় ৫৭৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়ন করেও সংঘাত পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক সহিংসতার খবর আসতে শুরু করে। বড় ধরনের সংর্ঘষ বা হতাহত-ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরব রাজ্যের ক্ষমতাসীন ও বিরোধীরা।
রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানায় নির্বাচন কমিশন। যদিও বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, বোলপুর, নদিয়ার একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের খবর মিলেছে, আহত হয়েছে রাজ্য সরকার ও বিরোধী পক্ষের অনেক কর্মী ও সমর্থক। বৈদ্যুতিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ত্রুটি এবং বুথে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছে এজেন্টরা।
বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এজেন্টকে বের করে দিয়েছিল আমি গিয়ে আবার বসিয়ে দিয়ে আসলাম।'
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একটি পোলিং বুথে যাওয়ার পথে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি বহরে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেছে।