বিদেশে এখন
0

রাফাসহ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের অভিযান

উপত্যকার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির রাফায় অভিযানের পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। আইডিএফ বলছে, হামাস যেন শরণার্থী শিবিরে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য জাবালিয়াসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে বাড়ছে সাধারণ মানুষ হতাহতের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাফায় অভিযানে কখনই হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না ইসরাইল।

গেল ৭ অক্টোবর থেকে হামাসকে নির্মূলে গাজা উপত্যকায় সেনা অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। এখন আইডিএফ'এর চোখ ঠেকেছে প্রায় ১৫ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নেয়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা সীমান্তে। একটু একটু করে রাফায় সমরাস্ত্র আর সেনা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা আর বিমান হামলা করছে তারা।

যদিও বাড়ছে সাধারণ মানুষ হতাহতের সংখ্যা। পুরো উপত্যকায় সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ কোন স্থান না থাকলেও এই সংঘাতে আতঙ্কে এখন পর্যন্ত রাফা ছেড়েছে সাড়ে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও হামলা করছে ইসরাইলি সেনারা। তাদের দাবি, হামাস যেন কোন শরণার্থী শিবিরে আবারও ঘাঁটি তৈরি করতে না পারে সেজন্য স্থল আর আকাশপথে হামলা চালানো হচ্ছে। গাজার ৮টি বড় শরণার্থী শিবিরের মধ্যে জাবালিয়া একটি, যেখানে আশ্রয় নেয়া শত শত ফিলিস্তিনিকে বাধ্য করা হচ্ছে শিবির ছাড়তে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলছেন, রাফায় অভিযানে হামাস তো নির্মূল হবেই না, উল্টো পরিস্থিতি আরও বেগতিক হবে ইসরাইলের জন্য। রাফায় পুরোদমে সেনা অভিযান না চালাতে তাই ইসরাইলকে বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে রাফায় অভিযান শুরুর পর থেকে ত্রাণ সরবরাহের দুই স্থল পথ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। তেল আবিব বলছে, মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে যেন সরবরাহ করা হয়, সে লক্ষ্যে ইরেজ ক্রসিং খুলে দিয়েছে তারা। গেল মঙ্গলবার থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে কোন ত্রাণ প্রবেশ করছে না উপত্যকায়।

অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ৫শ' স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এখন শরণার্থী শিবির রাফায় সেনা অভিযানে পুরো বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যার মামলায় সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশর। মামলায় সমর্থনের পরিকল্পনা আছে তুর্কিয়েরও।

ইএ