আরও একবার ইসরাইলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত গাজার শরণার্থী শিবির। গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল স্কুলগুলো গুড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলিরা। হামলায় প্রাণ হারানোদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ঘরবাড়ি হারিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েও নিরাপদে নেই গাজাবাসী। দেড় মাসেরও কম সময়ে হত্যা করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ এর বেশি ফিলিস্তিনিকে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকায় পাঁচ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর কৃষিজমি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরাইলিরা। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না সহায়তা সংস্থার কর্মীরাও। এসব হত্যার বিচারও পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
এমন অবস্থায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হামাসকেই দোষারোপ করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। অবিলম্বে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে গোষ্ঠীটিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান তিনি। শুধু তাই নয়, হামাসকে রীতিমতো অশালীন ভাষায় গালমন্দও করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
শত শত ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে অবস্থিত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। বক্তব্য শেষে বিক্ষোভকারীদের বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে বের হয়ে যান তিনি। এ সময় তাদের দিকে পানির বোতলও ছুড়ে মারেন তিনি। তখন গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় হট্টগোল।
এদিকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন বাহিনী। জবাবে বুধবারও ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির। নিখোঁজ এক হাজারের বেশি।