বিদেশে এখন

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় রদবদল

হুট করেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় রদবদল আনলেন পুতিন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান করেছেন দীর্ঘদিনের বন্ধু শোইগুকে। তার জায়গায় বসছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলুসভ। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান যুদ্ধে দেশের অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেমলিন।

৬৮ বছর বয়সী সের্গেই শোইগু ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শোইগু। মূলত ১৯৯০ এর দশকে রাশিয়ার দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর পরিচিতি পান তিনি। সামরিক বাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও, তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

এবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শোইগুকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। জন্মভূমি সাইবেরিয়ায় মাছ শিকারে যাওয়ার সময় পুতিনের নিয়মিত সঙ্গী ছিলেন শোইগু। গত বছর রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা প্রিগোজিনের সঙ্গে তার বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। প্রিগোজিন শোইগুর সামরিক যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।

শোইগুর জায়গায় নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলুসভ। সামরিক বাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা তারও সামান্য। ক্রেমলিন বলছে, একজন অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া রাশিয়ার নতুন আবিষ্কার।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'যুদ্ধক্ষেত্রে উদ্ভাবনী চিন্তা ও দ্রুত বাস্তবায়নের পথে হাঁটলেই জয় আসবে। এ কারণেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি সামরিক বাজেট ও যুদ্ধের খরচের বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।'

এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বে থাকা নিকোলাই পত্রুশেভেকে কোন পদে বসানো হচ্ছে তা স্পষ্ট করেনি মস্কো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রুশ অর্থনীতির গতি ফেরাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। দুই বছরের বেশি সময় ধরা চলা যুদ্ধের খরচ মেটাতে অনেকটা বেকায়দায় রাশিয়ার অর্থনীতি।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর