চলতি মাসের শুরু থেকেই তুঙ্গে ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা। যা দু'দেশের ভূমিতে হামলা-পাল্টা হামলায় গড়িয়েছে।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এতে পশ্চিমাদের মনে রহস্যের দানা বাঁধতে পারে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই এই সময়ে ইরান-পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই কূটনৈতিক বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের অন্যান্য মিত্ররা বিশেষ নজরে রাখবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তান ও ইরানের। নিজ নিজ দেশে উগ্রবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া এবং সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালানো থেকে বিরত রাখতে কোন দেশই যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দুই দেশই পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এমনকি জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় বালুচিস্তান প্রদেশে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এই দাবি করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাো চালায়। জবাব দেয় পাকিস্তানও।
এ অবস্থায় তখন দু'দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। পরে দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা কমাতে দ্রুত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেয় তেহরান ও ইসলামাবাদ। পরস্পরের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর বিষয়ে একমত হয় তারা। ইরানের প্রেসিডেন্টের এই সফরে বিষয়টি আরও স্বচ্ছভাবে সমাধান হতে পারে বলেও আভাস মিলছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ইরানের প্রেসিডেন্টর সফরে দু'দেশের বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোসহ দুই পক্ষের আরও বেশ কয়েকটি আলোচ্যসূচি রয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদের অভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ঘটনা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।