রাফায় অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

0

প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল রাফায় অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা না থাকায় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থল ও আকাশপথের পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর নতুন মাধ্যম সমুদ্রপথ। আর এই ত্রাণই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জন্য। গেলো দুই দিনে গাজার ৫টি স্থানে ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন।

উপত্যকাটির শেষ আশ্রয়স্থল রাফাতেও হামলার অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। তবে এই সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর পরিকল্পনা চাই। শুধু সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়েই নয়, তাদের আশ্রয়স্থল তৈরির পাশাপাশি খাদ্য, ওষুধ ও পোশাকের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে আমরা এখনো কোনো পরিকল্পনা পাইনি।’

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমি মনে করি এই পরিস্থিতিতে রাফায় স্থল অভিযান চালানো হলে ফিলিস্তিনের জনগণ ও মানবিক পরিস্থিতির ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে।’

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য তিন পর্যায়ের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পাশাপাশি কারাবন্দিদের মুক্তি দিলে ইসরাইলি জিম্মিদের ছেড়ে দেবে সংগঠনটি। তবে এবার সমগ্র গাজার বদলে শুধু মধ্য গাজার সালাহ আল দীন সড়ক থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে হামাস। এতে করে দক্ষিণে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিরা যেতে পারবে উত্তরে নিজ নিজ এলাকায়। একে অবাস্তব বলে ইসরাইল প্রত্যাখান করলেও নতুন প্রস্তাব নিয়ে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে ইসরাইল।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘সবকিছুই সঠিক দিকে যাওয়ার কারণে আমরা আশাবাদী। কিন্তু এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে।’

অনাহার ও অপুষ্টিতে প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছে গাজার শিশুরা। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, যুদ্ধ শুরু থেকে উত্তর গাজায় ২০ জনের বেশি শিশু ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ হারিয়েছে। অঞ্চলটির প্রতি ৩ শিশুর মধ্যে একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি উত্তরণে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।