বিদেশে এখন
0

কঙ্কালে পরিণত হচ্ছে গাজার শিশুরা

কঙ্কালে পরিণত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ যাচ্ছে গাজার শিশুদের। অনাহার, অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৫ শিশু। গাজাবাসীকে বাঁচাতে ইউএনআরডব্লিউএ কে অনুদান দেয়ার আহ্বান সংস্থা প্রধানের।

অন্ধকারেই চলছে শিশুদের চিকিৎসা। অনেক সময় চিকিৎসা চলার সময়ও চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শিশুদের চিকিৎসায় একমাত্র ভরসা জ্বালানি তেল চালিত জেনারেটর।

বুলেট বোমার পাশাপাশি ক্ষুধা গ্রাস করছে গাজার শিশুদের। অনাহার, অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় প্রাণ হারাচ্ছে শিশুরা। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলাও অব্যাহত। তাই খাদ্যের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ হারাচ্ছে ক্ষুধার্ত শিশুরা।

বেশিরভাগ শিশুর ওজন নেমেছে অর্ধেকে। কঙ্কালসার শিশুদের রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সংকটে চিকিৎসকেরা শরণাপন্ন হয়েছেন স্যালাইন ও গ্লুকোজের।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইমাদ দারদোনাহ বলেন, 'সত্যি বলতে আমরা ৫০ শতাংশ শিশুকেও চিকিৎসা দিতে পারছি না। কারণ ওদের দেয়ার মতো আমাদের কাছে কিছুই নেই। পানিশূন্যতা কাটাতে বাচ্চাদের আমরা সর্বোচ্চ স্যালাইন কিংবা চিনির দ্রবণ দিচ্ছি।'

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। তবে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সংস্থাটিতে বন্ধ হয়ে গেছে ১৬ দেশের ৪৫ কোটি ডলার তহবিল। যুদ্ধের আগে প্রতিদিন ৫০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক উপত্যকাটিতে প্রবেশ করলেও এখন তা নেমেছে ১০০তে। সংস্থা প্রধানের দাবি রাজনৈতিক কূটচালে বলির পাঠা হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।

ইউএনআরডব্লিউএ'র কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, 'রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই আমাদের সংস্থাকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সকালেই সাধারণ পরিষদে ইসরাইলের প্রতিনিধিরা নেতানিয়াহুর কথা পুনরাবৃত্তি করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন যুদ্ধের পর এই সংস্থার কোনো প্রয়োজন নেই।'

ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থাটির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে নরওয়ে। মানবিক সংকট থেকে উত্তরণে ইউএনআরডব্লিউএ'কে অনুদান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে গাজায় বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠাতে কাজ করছে বাইডেন প্রশাসন।

এদিকে ৭ অক্টোবরের অভিযানে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে হামাস যোদ্ধারা দলবদ্ধ ধর্ষণ চালিয়েছে বলে দাবি করছে জাতিসংঘ। তবে সংস্থাটির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে হামাস। নিউইয়র্ক টাইমস এমন ৩ ভুক্তভোগীর স্বাক্ষাৎকার প্রকাশ করলেও আরেক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের কাছে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন ২ ভুক্তভোগী।

ইএ