জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার সব কার্যক্রম বন্ধে ইসরাইলের নির্দেশ
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার সব ধরনের কার্যক্রম আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এই সংস্থার ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে। এ সময়ের মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএ-কে অবশ্যই ইসরাইলি ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা তাদের সব স্থাপনা ও জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে হবে।
ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করল ইসরায়েল, জাতিসংঘের উদ্বেগ
ইসরাইলের অভ্যন্তরে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ডে জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় তেল আবিবের ওপর ক্ষুব্ধ বিশ্ব সম্প্রদায়। জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইল অনবরত আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করে গাজা ইস্যুতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া নেতানিয়াহু প্রশাসন যুদ্ধবিরতির সব প্রস্তাবকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে, তবে তা ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর। এদিকে, গাজায় অনবরত হামলায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যেই হিজবুল্লাহ'র নেতা নাঈম কাশেমকে গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দেড় মাস পরই বন্ধ হতে পারে ফিলিস্তিনি সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ
পর্যাপ্ত অনুদান না পেলে দেড় মাস পরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। এ অবস্থায় সংস্থাটিকে রক্ষার তাগিদ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের। তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে ১১৮টি দেশ ও নিরাপত্তা পরিষদ। ইউএনআরডব্লিউএ বন্ধে জোরদার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।
হামাসের হামলায় শরণার্থী সংস্থা'র জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি
গেল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থার কোনো সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ দেয়নি ইসরাইল। স্বাধীন তদন্ত কমিশন কয়েক দফা চিঠি দিলেও এর উত্তর দেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন মিথ্যাচারের মাধ্যমে গাজায় মানবিক সংকট বাড়ানোর চেষ্টা ছিল ইসরাইলের।
কঙ্কালে পরিণত হচ্ছে গাজার শিশুরা
কঙ্কালে পরিণত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ যাচ্ছে গাজার শিশুদের। অনাহার, অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৫ শিশু। গাজাবাসীকে বাঁচাতে ইউএনআরডব্লিউএ কে অনুদান দেয়ার আহ্বান সংস্থা প্রধানের।