বিদেশে এখন
0

শান্তিচুক্তির নির্দেশনা প্রত্যাখান নেতানিয়াহুর

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় হতাহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে অসংখ্য শিশু। বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে এই সংকটটি বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ইসরাইলের আগ্রাস সেনা অভিযানের পর গাজার আল নাসের হাসপাতালের পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা। এমনকি অব্যাহত বর্বরতায় বাবা-মা থেকে প্রায় ১৭ হাজার শিশু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি অভিযান আন্তর্জাতিক আইনকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে বলে মনে করছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শান্তি চুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যতে কোন চুক্তি করা সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, শান্তিচুক্তি হবে শুধুমাত্র হামাস-ইসরাইল আলোচনার মধ্য দিয়ে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিকল্পনা ছাড়া অভিযান পরিচালনা করা উচিত নয় ইসরাইলের।

এদিকে হামাসের কাছে বন্দি ইসরাইলিদের এখনও ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইসরাইলের সাধারণ মানুষ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বন্দিদের স্বজনরা। তাদের বিশ্বাস, নেতানিয়াহু প্রশাসন বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও তা কঠিন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

গাজা উপত্যকা ছাড়া অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরেও অভিযান অব্যাহত আছে। অধিকৃত ভূখণ্ডের সিলাত আদ-ধহর শহরের ১৫টির বেশি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবদেন বলছে, ‘নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসী অভিযান চালিয়ে যাওয়া, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেন হুতিদের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত চরম পর্যায় পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ঘনীভূত হচ্ছে সংকটের মাত্রা।’

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর