২০২৩ সালে ভোগ্যপণ্যের খুচরা বিক্রি দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যা প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। অনলাইন জগতের নতুন প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ চীনা অর্থনীতিতে আরও গতি এনেছে। নতুন উদ্যোক্তারা লাইভস্ট্রিম, ই-কমার্স, অনলাইন শপিং ব্যবহার করে খুচরা বাজারকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
অনলাইনে পণ্যের বিক্রি গত এক বছরে বেড়েছে রেকর্ড ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া রাস্তার পাশে খোলা রেস্তোরাঁ, বাজার, কাপড় ও নিত্যপণ্যের দোকান ক্রেতাদের মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা তৈরি করেছে। বড় বড় শপিংমলগুলোতে বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
শীত মৌসুমে চীনে সাংস্কৃতিক, বিনোদন ও পর্যটন খাতে ব্যাপক চাহিদা বাড়ে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসা ক্যাটারিং, আবাসন, পর্যটন ও পরিবহন খাতগুলোতেও এবার আয় হয়েছে দ্বিগুণ। গত এক বছরে চীনের ক্যাটারিং ব্যবসায় প্রথমবারের মতো আয় হয় ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। সেবা খাতে আয় বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। ভ্রমণ ও সেবা খাতের জন্য এবার অনলাইন মাধ্যমের ওপর ভোক্তাদের নির্ভরতা বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ।
রাষ্ট্রীয় পোস্টাল ব্যুরোর তথ্য মতে, পণ্য পরিবহনে চীনের মানুষ গত এক বছরে ১৩ হাজার কোটির বেশি এক্সপ্রেস ডেলিভারি প্যাকেজ ব্যবহার করেছে। দ্রুত ও নিরাপদে ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে এক্সপ্রেস ডেলিভারি অন্যতম মাধ্যম।
সংস্থাটি আরও জানায়, এক বছরে পোস্টাল সার্ভিসে পার্সেল সরবরাহ হয়েছে ১৬ হাজার ২০০ কোটি পিস।
মূলত করোনার পর থেকে চীনের অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে এনেছে ই-কমার্স ব্যবসা। এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা ও অনলাইন মাধ্যম নানা ধরনের পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করেছে। ২০২৩ সালে হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান অঞ্চলে চীনের আন্তর্জাতিক পার্সেল সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৩১০ কোটি পিস।
চীনের অর্থনীতিতে ভোগব্যয় বা খাবার, পোশাক ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের ব্যয় বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে পোস্টাল সার্ভিস দেশটির রাজস্ব খাতে যোগ করেছে ২১ হাজার কোটি ডলার।
ই-কমার্স মানুষের কেনাকাটাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বাজার চীনে। একসময় ই-কমার্স ব্যবসায় রাজত্ব করা আলিবাবা চীনে অনেকটা হারিয়ে গেছে। তবে তাদের মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান এখনও শীর্ষে রয়েছে। মার্কেটের অর্ধেকের বেশি শেয়ার তাদের দখলে।