বিশ্বজুড়ে উদযাপন হচ্ছে খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। রোববার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে উদযাপন। তবে এবারের বড়দিন অন্যান্য বছর থেকে একটু আলাদা।
গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে এই উৎসবে। যুদ্ধবিরতির দাবিতে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে হয়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। এ কারণে অনেকটা আতঙ্কের মধ্যেই এ বছর বড়দিন উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের খ্রিস্টানরা।
বড়দিন উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটিতে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। যুদ্ধের কারণে যারা দুর্দশায় আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানান পোপ। একইসঙ্গে যারা কষ্টে আছেন তাদের কথা মনে রেখে বড়দিনে অর্থ অপচয় না করে, যা আছে তাই নিয়ে সাদামাটাভাবে উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করছেন অনেক অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। ইউক্রেনীয়রা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে ৭ জানুয়ারির ঐতিহ্যগত অর্থোডক্স তারিখ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। রাশিয়ার মস্কোকে উপেক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, শয়তান হেরে যাবে।
৮০০ গাড়ি দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিস্টমাস ট্রি
ভ্যাটিকেন সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সমবেত হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত পুরো বিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ।
এদিকে প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের আমন্ত্রণে বড়দিনের আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যরা। উৎসবের এই দিনটি ঘিরে কনসার্টের আয়োজন করা হয়, যেখানে গান পরিবেশন করেন বিখ্যাত শিল্পীরা। আর এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রিন্স উইলিয়ামসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
বড়দিনে উৎসবমুখর ভারতের কলকাতাও। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার লেকটাউন পরিণত হয়েছে মিনি পার্কস্ট্রিটে। পার্কস্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ, সেই ভিড় এবার লেকটাউনে।
এছাড়াও ভিন্নধর্মী নানা আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, ব্রাজিল, পর্তুগালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।