ধর্ম , ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ইরান-ইরাক থেকে বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে

ইরান হোক কিংবা ইরাক, বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম দেশসহ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। বিশেষ এই দিনটিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারে দেখা গেছে পুনর্মিলনী। ক্যান্সার নিরাময়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।

ইরানের রাজধানী তেহরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হলেও দেশটিতে বড়দিনের আয়োজন চলে প্রতিবছরই। ক্রিসমাসের রাতে সান্তার পুতুল, ক্রিসমাস ট্রি কিংবা মেরি ক্রিসমাস লেখা শুভেচ্ছাবার্তা কিনতে শহরের দোকানে ভিড় ছিল সাধারণ মানুষের। রাতের রাজধানীতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছবি তুলতে ভুলেননি ইরানিরা। প্রত্যাশা ছিল সুন্দর ভবিষ্যতের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতনহীন পৃথিবী চাই। স্থিতিশীল দেশ ও উন্নত পৃথিবী চাই, যেখানে খ্রিস্টানদের ওপর কোনো বৈষম্য থাকবে না।'

ইরানের এক বাসিন্দা বলেন, 'খুবই কঠিন বছর গেছে। আশা করছি আগামী বছর ইরান সকল বাধা অতিক্রমে সক্ষম হবে।'

আয়োজনের দিক থেকে ইরানকে পাল্লা দিয়েছে প্রতিবেশি ইরাক। বাগদাদ ও মসুলসহ বিভিন্ন শহরের গির্জাগুলো সাজানো হয় আলোকবাতি দিয়ে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। পাশাপাশি পালন করা হয় কাঠ পোড়ানোর রীতি।'

বড়দিন কেন্দ্র করে ব্রিটিশ রাজপরিবারে দেখা গেছে পুনর্মিলনী। স্যানড্রিংহামে রাজা তৃতীয় চালর্সের নেতৃত্বে সেইন্ট ম্যারি ম্যাগডালিন চার্চে আসেন কুইন ক্যামিলা, রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম, তার স্ত্রী প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ক্যাথরিন ও তাদের তিন সন্তান। রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্রিসমাস ডে সার্ভিসে দেখা গেলেও চীনা গোয়েন্দার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মামলা চলায় অনুপস্থিত ছিলেন রাজার ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রু।

ক্যান্সার থেকে সেরে উঠতে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দেন রাজা। নতুন বছরে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে শান্তি নিয়ে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তৃতীয় চার্লস।

তিনি বলেন, 'শান্তির বার্তা ভালো মানুষের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক। প্রার্থনা করছি সবাই নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুন্দরভাবে হলিডে উদযাপন করবেন। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।'

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত মেক্সিকোয় বড়দিনে ছিল সাদামাটা আয়োজন। গির্জার বিপরীতে বসানো গৃহহীনদের তাবুই বলে দিচ্ছে সাধারণ জনগণের অবস্থা কতটা কঠিন। তাই প্রার্থনা ও ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি অসহায়দের খাবার সরবরাহ করেছে কয়েকটি ক্যাথলিক গির্জা। এমন কাজের মাধ্যমে যিশুর বাণী সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাবে বলে আশা যাজকদের।

এদিকে সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে বড়দিন উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কানাডা ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।

এসএস