কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের শহর আল খোর। চট্টগ্রামের প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা সেই মরুর বুকেই কৃষি খামার গড়ে তুলছেন মোহাম্মদ ফরিদ, যার শুরু ২০০১ সালে। এখানে এখন কাজ করছেন প্রায় ৪০ জনের মত বাংলাদেশি।
তবে, খামার গড়ার এই যাত্রায় অনেক কষ্ট করছে মোহাম্মদ ফরিদ । কাতারের নাগরিকের কাছ থেকে নিতে হয়েছে জমি ভাড়া। তবে সেখানে হালচাষের জন্য গরুর অভাব পূরণে বশে আনতে হয়েছে গাঁধাকে। অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য শোনালেও গাধা দিয়ে হালচাষ করেই সফল হয়েছেন তিনি।
কাতার প্রবাসী উদ্যোক্তা মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, ২০০১ সাল থেকে কাতারে জমি ভাড়া নিয়ে কাজ করছি। কাতারে গরুর অভাব রয়েছে। তাই এমন সমস্যা সমাধানে গাধা দিয়ে লাঙ্গল চালাচ্ছি এবং সফলতা পাচ্ছি।
কৃষিকাজ ও সবজি উৎপাদনে সকাল থেকে সন্ধ্যা মাঠে কাজ করেন এখানকার শ্রমিকরাও। মাস শেষে একেকজন বেতন পান প্রায় ৫০ হাজার টাকা। খামারটিতে চাষ করা হয় করলা, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, লাউ, শিম, মরিচসহ নানা ধরনের শাক-সবজি। এছাড়াও লালন-পালন করা হচ্ছে গরু, ছাগলের মতো গবাদি পশু।
শ্রমিকরা বলেন, আমার এখানে ৩০-৪০ জন শ্রমিক আছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশি সবজি চাষ করা হয়। এখানে কাজ করে আমরা ভালো আয় করছি।
২০১৭ সাল থেকে সৌদি জোটের ৪ বছরব্যাপী অবরোধের পর থেকেই আমদানি নির্ভর কাতারে গড়ে উঠে কৃষি খামারসহ বিভিন্ন উৎপাদনযোগ্য প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে দেশের সবজি চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিতে মনযোগী কাতার সরকার।