সেমিকন্ডাক্টর খাতে চীনের অগ্রযাত্রা রুখে দিলে যুক্তরাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে!

প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

চীনের চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর খাতে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে তাইওয়ানসহ মিত্রদের ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে তাইপে তাদের চিপ শিল্পকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। সর্বোপরি সেমিকন্ডাক্টর খাতে চীনের অগ্রযাত্রা রুখে দেয়ার যাবতীয় পদক্ষেপে খোদ যুক্তরাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে বেইজিং।

দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রযুক্তি লড়াই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও প্রযুক্তি বাজারে প্রভাব বিস্তারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে চীন।

ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় চিপ তথা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বেইজিংয়ের অগ্রযাত্রা তো থামেনি, উল্টো বেড়েছে উদ্ভাবনের গতি। এই যেমন গাড়ি ও ডিসপ্লে প্যানেলের জন্য ব্যবহৃত চিপ বাজারে তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ ও ইউএমসি'র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে চীনা চিপ কারখানা নেক্সচিপ, হুয়া হং ও এসএমআইসি। এতে দুশ্চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্রের চিপ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এনভিডিয়াও।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর সেমিকন্ডাক্টর-সংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে। এর অংশ হিসেবে মিত্রদের ওপরও চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে মিত্র তাইওয়ানের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের স্থানটি তাইওয়ান কেড়ে নিয়েছে। তিনি এই অবস্থান ফিরে পেতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং শেষ পর্যন্ত খোদ যুক্তরাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে কড়া সতর্ক বার্তা দিলো চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর দমনের বিষয়ে চীন বারবার দৃঢ় অবস্থান দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আর্থ-বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। এর জন্যই চীনা চিপ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগতভাবে বাড়াচ্ছে। চীনের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে দমন করার জন্য অন্যান্য দেশকে বাধ্য করছে। এই আচরণ বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। যা শেষ পর্যন্ত বিপরীতমুখী হবে; অন্যদের এবং নিজের উভয়েরই ক্ষতি করবে যুক্তরাষ্ট্র।'

এরইমধ্যে চাপ থাকায় তাইওয়ান তার সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের কাছে 'উপহার' হিসেবে তুলে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে চীন। রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার জন্য তাইওয়ান এই শিল্পকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে বলেও দাবি বেইজিংয়ের। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্ব নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিপ প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাইওয়ানের টিএসএমসি আলোচনাও করছে বলেও জানা গেছে। যদিও টিএসএমসি ও ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এসএস