
সেমিকন্ডাক্টর খাতে চীনের অগ্রযাত্রা রুখে দিলে যুক্তরাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে!
চীনের চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর খাতে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে তাইওয়ানসহ মিত্রদের ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে তাইপে তাদের চিপ শিল্পকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। সর্বোপরি সেমিকন্ডাক্টর খাতে চীনের অগ্রযাত্রা রুখে দেয়ার যাবতীয় পদক্ষেপে খোদ যুক্তরাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ বছরের মধ্যে রেকর্ড ৬৭টি নির্বাহী আদেশে সই
৪০ বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬৭টি নির্বাহী আদেশে সইয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের এক মাস পর করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের পর এবার মোটরগাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কারোপের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা কার্যকর হবে আগামী দোসরা এপ্রিল থেকে। এদিকে জো বাইডেনের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলদের চাকুরিচ্যুতের নির্দেশ দিয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা।

চীনা পণ্যে আরো শুল্ক বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র
চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের শেষে কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে পারে একশো শতাংশ পর্যন্ত। শুল্ক বৃদ্ধির এ পরিকল্পনা গেলো মে মাসে প্রথম ঘোষণা করা হলেও এর হার নির্ধারণে সময় নেয়ার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

কামালা-ট্রাম্পের বিতর্কে চীনা নীতি নিয়ে কোনো বার্তা আসেনি!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বিতর্কে চীনা নীতি নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা আসেনি কোনো পক্ষ থেকেই। তবে আগে থেকেই চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। আর হ্যারিস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা হয়, এমন নীতিই চীনের জন্য বেছে নেয়া হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে যেই জিতুক না কেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অস্থিতিশীল থাকবে।

ট্রাম্পের এক মন্তব্যেই শেয়ার দর কমছে টিএসএমসির
প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ দেয়া উচিত তাইওয়ানের। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের খেসারত গুনতে শুরু করেছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। এরইমধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় চিপ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ শতাংশ কমে গেছে।

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বৈশ্বিক হাব হয়ে উঠছে ভারত
বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাত দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারীদের কারখানা স্থানান্তরে বাধ্য করেছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে চিপ উৎপাদনের অন্যতম হাব বা কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা অনেকটাই বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।